টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে আটকের চেষ্টায় তার বাসা ঘেরাও করে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল ১০টাথেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তার বাসার সামনে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। এসময় পুলিশকে প্রতিহত করতে সেলুঘাট মসজিদের মাইকে নারী-পুরুষ এক হওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। ওইস্থান থেকে বিএনপির তিন নেতা এবং ভোর রাতে আরও দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বানাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকী,
সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান, সহ-সম্পাদক যুব বিষয়ক মোস্তাফিজুর রহমান ইউসুফজাই রিংকু চৌধুরী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা জীবন, গোড়াই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দুলাল মিয়া।

বিএনপির নেতারা জানান, বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে সাবেক এমপি কালামের বাসায় নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকে। এসময় নাশকতা এড়াতে সকাল ১০টার দিকে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর বাসা ঘেরাও করে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে আটকের চেষ্টা চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।

পরে পুলিশের হাত থেকে আবুল কালামকে ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়। একইসময় পুলিশকে প্রতিহত করতে সেলুঘাট জামে মসজিদের মাইকে গ্রামের সব নারী-পুরুষকে এক হওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এসময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বেলা ১টার দিকে ওই স্থান ত্যাগ করে পুলিশ। এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সাবেক এমপির বাসা ঘেরাওকালে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে কালামের বাসভবন চত্বর প্রদক্ষিণ করে।

মির্জাপুর থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির নাম করে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই স্থানে অবস্থান নিচ্ছে এমন সংবাদে ওই স্থানে গেলে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এসময় বিস্ফোরক আইনে মামলার তিনজন আসামী ও এরআগে ভোরে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মসজিদের মাইকে ঘোষণার ব্যাপারে বলেন, বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে আলোচনা করে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বার্তা বাজার/জে আই