কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের শাবল ও ধারালো দেশীয় অস্থ্রের ঘাতে রতন (৩২) এক কৃষকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত কৃষক রতন উপজেলার গোবরিয়া লক্ষীপুর ইউনিয়নের পূর্ব-আব্দুল্লাহপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে। সে পেষায় একজন কৃষক বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার সকালে পূর্ব-আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ভূইয়া বড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপর একটার দিকে কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ জানান, আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া লক্ষীপুর ইউনিয়নের পূর্ব-আব্দুল্লাহ পুর গ্রামে ভূইয়া বাড়ির কলিম উদ্দিনের মেয়ে শিখা বেগম (২০) একই বাড়ির রতন মিয়ার ঘরে পিঠার আতব চাল ও পিঠা বানানোর মাটির (খোলা) পাত্র আনতে যায়। রতন মিয়া না দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে, শিখা বাড়িতে গিয়ে তার মা ও বাবাকে বলেন। এই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে শিখার বাবা কলিম উদ্দিন (৬০) ও মা শরিফা বেগম (৪৫) রতনের বড়িতে গিয়ে রতনের সাথে বাকবিতণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবা কলিম উদ্দিন, মা শরিফা বেগম ও মেয়ে শিখা মিলে শাবল ও ধারালো দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে রতনকে গুরতর আহত করে। পরে এলাকাবাসী গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। যে কোন অনাকাক্ষীত ঘটনা এড়াতে এলাকায় র্যাব ও পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
এ বিষয়ে গোবরিয়া লক্ষীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদল মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি, গ্রামের মৃত গফুর মিয়ার ছেলে মো: কলিম উদ্দিন একজন ভিক্ষুক। তার পেষা ভিক্ষা করা। আগে থেকে রতন মিয়া ও কলিম উদ্দিনের বিরোধ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। পূর্ব বিরোধের জের হিসাবে আজকের এ ঘটনা হতে পারে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনর্চজ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা কৃষক রতন মিয়া মারা যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে বার্তা বাজারকে বলেন, নিহতের
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বার্তাবাজার/এম আই