জেলা জুড়ে গত বুধরার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা ভারি বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার সৃিষ্ট হয়েছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফসলের মাঠে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলাটির ১৪ ইউনিয়নের চাষিরা। তবে ফসলের মাঠ থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিসার বলছে সরকার থেকে প্রণোদনা আসলে ক্ষতি গ্রস্থ চাষিদের সহায়তা করা হবে।

মাসকলাই, মরিচ, চিনাবাদাম, তুলা, কফি, টমেটো, বেগুন, করলা সহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি চাষিরা চরম বিপাকে। তবুও নিরাশ না হয়ে জলাবদ্ধতা নিরষনের জন্য সারাদিন জমির পানি ছেকে ফসল বাচানোর জন্য পরিশ্রম করছে। উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এসময় দৌলতপুরে ১০৬১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সব্জি চাষ হয়েছে তার মধ্যে ১২৬ হেক্টর জমির সব্জির ক্ষতি হয়েছে।

মধূগাড়ী এলাকার বর্গাচাষি জুলেখা খাতুন বলেন, এই দুনিয়ায় কেউ নেই তার, জমি বর্গা নিয়ে কলাই ও মরিচ চাষ করেছেন। টানা দু দিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতে যে পরিমান টাকা খরচ হয়েছে তা পুরো পানির মধ্যে।

গরুড়া গ্রামের এক সবজি চাষি বলেন, তার দুই বিঘা ফুলকপির এক বিঘা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। সামান্য কিছু টাকার কপি বিক্রি হলেও বাকিগুলো নষ্টের পথে। তাতে ৫০-৬০ হাজার টাকা লোকশান হবে বলে জানান।
বাগোয়ান গ্রামের মিজানুর বলেন, মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা না থাকায় এই জলাবদ্ধতা। মাসকলাই, কফি ও মরিচের জমিতে পানি জমে আছে। এসব ফসল আর হবেনা, বিকল্প হিসেবে ভুট্রা চাষ করতে হবে।

এদিকে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপজেলায় মাসকলাই, চিনাবাদাম, মরিচ, টমেটো, কফি সহ বিভিন্ন ধরনের সব্জির ক্ষতি হয়েছে। এসময় তিনি আরো জানান সরকার থেকে প্রণোদনা আসলে ক্ষতি গ্রস্থ চাষিদের সহায়তা করা হবে। মাঠে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা না থাকায় এখন চরম ভোগান্তিতে চাষিরা।

বার্তা বাজার/জে আই