গত কয়েকদিন ধরে অতিবৃষ্টির কারণে ও উজানে পাহাড়ী ঢল বাড়ায় যমুনা, বাঙালী ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর পানি বৃদ্ধির কারণে আবারও ভাঙছে নদীর পাড়। যমুনার পাশাপাশি বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বাঙালী নদীর পাড় ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এতে করে উপজেলার চক কল্যানী এলাকার অন্তত ২৫০ মিটার অংশ রাস্তা, আবাদি জমি, গাছপালা ধ্বসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে কয়েকটি বসতবাড়িও নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া বাঁধের ওপর বসবাসকারী আরো শতাধিক বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় ওই এলাকার আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে নানা উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের মধ্যে দিনরাত অতিবাহিত করছেন নদী পাড়ের মানুষেরা।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছা. সামছুন্নাহার শিউলি। তবে নদীতে আকস্মিকভাবে ধ্বসে যাওয়া এলাকা দ্রæত সংস্কার ও মেরামতের আশ্বাস দেন তারা। এসময় সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যানী গ্রামে নদী ভাঙ্গণ শুরু হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তা নিয়ে কৃষক নজরুল ইসলাম তার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

এসময় স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গত দশ বছর ধরেই এই এলকাটি ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষা মৌসুম এলেই বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। নদী ভাঙ্গণ দেখা দেওয়ায় ওইসব গ্রামের সিংহভাগ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। জরুরী ভিত্তিতে সেখানে বন্যা নিয়ন্ত্রত বাঁধ নির্মাণ না করলে প্রতি বছর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি ভাঙ্গার আশংকা রয়েছে। খুব দ্রæত ওই এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ বলেন, নদী ভাঙ্গণ ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার খবরটি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। নদী ভাঙ্গন এলাকটি পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কার ও মেরামত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বাঙালী নদীর ওই অংশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/এম আই