মিয়ানমারে সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উস্কে দেয়ার ঘটনার প্রধান মাস্টারমাইন্ড ও আরাকান রোহিঙ্গা সলভেনশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ উরফে আবু আম্মার জুনুনীর একান্ত সহকারী এরশাদ উরফে নোমান চৌধুরীকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

সে বাংলাদেশ মিয়ানমার জিরো লাইন নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনারপাড়া এলাকার সাব্বির আহমদের ছেলে।

রোববার (১ অক্টোবর) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুর এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফ. কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত নোমান রোহিঙ্গা উগ্র সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার প্রধান আতাউল্লাহ উরফে আবু আম্মার জুনুনীর একান্ত সহকারী এবং আরসার অর্থ সংগ্রহের প্রধান সমন্বয়ক। এছাড়াও আতাউল্লাহর পরিকল্পনা অনুযায়ী আরসাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে বড় ধরণের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।

র‍্যাব অধিনায়ক সাজ্জাদ জানায়, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের বিজিপি ঘাটিতে হামলায় পরিকল্পনাকারো ও সরাসরি অংশ নিয়েছিলো নোমান। এছাড়াও নোমান ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর তুমব্রু সীমান্তে আরসার হাতে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, বিদেশ থেকে আরসার জন্য অর্থ সহায়তা আসতো নোমানের হাতে। পরে এরপর এসব টাকা হুন্ডির মাধ্যমে স্ব স্ব ইউনিটকে সরবরাহ করতেন। এছাড়াও এসব অর্থ দিয়ে আরসা সদস্যদের জন্য ইউনিফর্ম ল্যান্ডমাইন, ওয়াকিটকি, ঔষধ সামগ্রি ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করতেন।

তিনি আরো জানান, র‍্যাব এই পর্যন্ত বোমা তৈরীর কারিগর, গানম্যান, অর্থ সম্পাদকসহ আরসার ৬০ জন বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

বার্তাবাজার/এম আই