ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম আলফাডাঙ্গা ক্লাব ফুটবল একাদশের মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদরের আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়।

খেলায় প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় আলফাডাঙ্গা ক্লাব। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনলেও ভাগ্য সহায় ছিল না ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির। পরবর্তীতে আরও একটি গোলে এগিয়ে যায় আলফাডাঙ্গা ক্লাব। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলফাডাঙ্গা ক্লাব।

খেলা শেষে হাজার হাজার দর্শক মাঠে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে সুবিশাল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। এরপর উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

এসময় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘গোপালগঞ্জের পাশে আলফাডাঙ্গা। কোন কারণে নেত্রী (শেখ হাসিনা) যদি জানেন আমি আলফাডাঙ্গাকে হারিয়ে দিয়েছি তাহলে জীবনেও আমাকে নমিনেশন দেবেন না। যদিও আমার প্লেয়াররা জেতার চেষ্টা করেছে। আপনারা বিদেশি প্লেয়ার নিয়ে আসেন টাকা দিয়ে আমাদের টিমে বিদেশি প্লেয়ার নেই। আমরা হেরে গেছি তবে খেলা কিন্তু সুন্দর হইছে। ২০ হাজার টাকা দিয়ে যারা নাইজেরিয়ার প্লেয়ার আনেন সেই টাকা কিন্তু নাইজেরিয়া চলে যায়। আমি জেতার জন্য হারার জন্য ফুটবল খেলি না। এ ফুটবল খেলার মাধ্যমে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিতে হবে। ফুটবল খেলার মাধ্যমে দেশকে ভালোবাসতে হবে। দেশীয় ঐতিহ্য ফুটবল ধরে রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমি হেরে গেলেও হেড দিয়ে একটা গোল করেছি। এই গোলটি আলফাডাঙ্গার বিপক্ষে নয়, এই গোলটি আমি তাদের দিয়েছি যারা এ ফুটবল খেলাটি শেষ করে দিয়েছে।’

খেলা শুরু হওয়ার আগেও উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যারেস্টার সুমন।

তখন ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আজকে আমি হেরে গেলে আমার এলাকার লোকজন বলবে আলফাডাঙ্গা থেকে হেরে আসছে। কিন্তু আমি আমার এলাকার মানুষদেরকে বলেছি; শুধু হারা না তোমরা যদি আমারে লাথিও দেও তবুও আমি আমার ফুটবল ও বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশনকে পুনরুজ্জীবিত না করে ছাড়ব না।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ফরিদপুরে এসে একজন মানুষের সুনাম না করলেই নয়। তিনি হলেন ফরিদপুরের ডিসি। ফরিদপুরের ডিসির মতো ডিসি ৬৪ জেলায় থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হয়ে যেত।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, যত্ন করলে রত্ন মেলে। দেখবেন আমার খেলোয়াড়দের ওজন বেশি না, কিন্তু মাঠে গেলে তারা ঘোড়ার মত নাচে।

তিনি আরও বলেন, অনেকে বলেন বাংলাদেশের মানুষরে দিয়ে কিছু হয় না। আর ৫টা বছর যদি বেঁচে থাকি আমি তাহলেই আপনাদের দেখাই দিব। দেশের তরুণদের যদি কাজে লাগানো যায় তাহলেই এদেশ সোনার বাংলা হবে। যারা ঘাম দিয়ে গোসল করে তারা ইতিহাস বদলায়। আমরা ইতিহাস বদলে দেব।

বার্তাবাজার/এম আই