ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৮ নেতা জামিন পেয়েছেন। অপরদিকে ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছাড় বিএনপি’র পাঁচ নেতাকর্মীর জামিনের আদেশ দেন।

জামিনপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন আলফাডাঙ্গা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান আব্বাস মিয়া, সদস্যসচিব মো. নূরুজ্জামান খসরু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহীন মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত পারভেজ ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আরব আলী।

এরআগে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের জেলা ও দায়েরা জজ আকবর আলী একই মামলার ১২ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। সেইসাথে তিনজনকে জামিন দিয়েছেন।

কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া ১২ নেতাকর্মীরা হলেন- আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রবিউল হক, সদস্য সচিব খোসবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মিলন, দলের কর্মী নজরুল ইসলাম, মো. মুন্নু শেখ, হেমায়েত শেখ, হেমায়েত হোসেন মৃধা, সাজ্জাদ হোসেন, সৈয়দ মাইনুল হক, ফয়সাল সরদার ও মফিজুর রহমান।

অপরদিকে বয়স বিবেচনা করে মো. রিজাউল ইসলাম, আলমগীর হোসেন ও হাদী রতনের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিএনপির এসকল নেতাকর্মী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন তারা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ৩১ জুলাই ফরিদপুরে বিএনপির জনসমাবেশে যোগ দিতে ৩০ জুলাই রাতে আলফাডাঙ্গায় সরকারবিরোধী একটি মিছিল বের করা হয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে মিছিলকারী নেতা–কর্মীরা আলফাডাঙ্গা লোকাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশের চেকপোস্ট লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শটগানের সাতটি গুলি ছোড়ে। এ সময় ইটের আঘাতে এসআই রবিউল ইসলাম, কনস্টেবল নূর এলাহী, মিল্টন বিশ্বাস ও মহসিন আহত হন। পরে এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানার এসআই রবিউল ইসলাম স্থানীয় বিএনপির ২৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি করা হয়। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া বলেন, বিএনপির এক দফা আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে আলফাডাঙ্গায় ওই গায়েবি মামলা করা হয়েছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ৩০ জুলাই রাত সোয়া ৯টার দিকে আলফাডাঙ্গা লোকাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশকে লক্ষ্য করে কোনো ইটপাটকেল নিক্ষেপ বা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি এবং রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালানোর কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাকি আসামিদের দ্রুত মুক্তি দাবি করেন তিনি।

বার্তাবাজার/এম আই