ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় হাফিজুর রহমান (৩০) নামে এক পালিত ভাতিজার অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বৃদ্ধা আলেয়া বেগম ও তার পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের বড়ভাগ এলাকায় বৃদ্ধা আলেয়া বেগমের পিতা মৃত. আইনুদ্দিন শেখ কয়েকযুগ আগে মুন্সিগঞ্জের ফজলুল ওরফে খোকা নামে এক ব্যক্তিকে পালক ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সেই হিসেবে ফজলুলের মৃত্যুর পরেও তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময় আইনুদ্দিনের বাড়িতে এসে থাকতেন। গত একবছর আগে ফজলুলের ছেলে হাফিজুর রহমান মৃত. আইনুদ্দিনের বাড়িতে নিয়মিত বসবাস শুরু করেন। কিন্তু হাফিজুর রহমান বসবাস শুরুর কিছুদিন পরেই জায়গা-জমি নিয়ে মৃত. আইনুদ্দিনের একমাত্র মেয়ে আলেয়া বেগমের পরিবারের সাথে বিরোধ শুরু করে। এই বিরোধের কিছুদিন আগে আলেয়া বেগমের একটি খড়ের স্তুপে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় হাফিজুর। বিভিন্ন সময়ে আলেয়া বেগমের বাড়িতে থাকা নানারকমের ফলফলাদি গাছ কেটে বিনষ্ট করে সে।

সবশেষ গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে আলেয়া বেগমের বসতবাড়ির পাশে একটি পাটকাঠির স্তুপে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানার জন্য আলেয়া বেগম এগিয়ে গেলে হাফিজুর রহমান তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। একপর্যায়ে বৃদ্ধা আলেয়া বেগমের পুত্রবধূ সুবর্ণা বেগম এগিয়ে গেলে হাফিজুর রহমান তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এসব ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী আলেয়া বেগমের ছেলে ইমরান খান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানতে চাইলে ইমরান খান বলেন, ‘হাফিজুর রহমানের বাবা আমার নানার পালক ছেলে। সেই হিসেবে হাফিজুর আমাদের বাড়িতে বসবাস করে। কিন্তু হাফিজুর আমাদের জায়গা দখলসহ নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।’

বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

তবে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবু তাহের জানান, ‘উভয় পরিবারের মাঝে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বার্তা বাজার/জে আই