ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এক জোড়া ডাব ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ডাব কিনতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা বিপাকে পড়েছেন। ডাবের দাম শুনে অনেকে না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে এই দামে ডাব কিনছেন।
ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান গেটে ডাব বিক্রি হতে দেখে হামিদুল সর্দার নামের এক পথচারী এগিয়ে গিয়ে ডাবের দাম জিজ্ঞেস করলেন। বিক্রেতা যখন একটি ডাবের দাম চাইলেন ১০০ টাকা, তা শুনে পথচারী হামিদুল সর্দারের চোখে ছানাবড়া!
পথচারী হামিদুল সর্দার বলেন, ‘কোন দেশে আছি ভাই, এক ডাব কিনতে হবে ১০০ টাকায়।’ প্রতিত্তোরে ডাব বিক্রেতা মুসা মোল্যা বললেন, উৎপাদন কম আর ডেঙ্গুর কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডাবের দাম বেড়ে গেছে। আমরা ডাব কিনে আনছি বাড়তি টাকা দিয়ে। বড় আকারের প্রতিটি ডাব কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। তারপর গাছ থেকে নামানোর খরচ আর গাড়ি ভাড়াতো আছেই। সব মিলে ডাবের পিছনে আমাদের খরচ বেশি হচ্ছে বিধায় ক্রেতাদের থেকে দামও বেশি নিতে হচ্ছে।
ডাব কিনতে আসা রহিমা খাতুন নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, গত দুইদিন ধরে আমার বাবা ডেঙ্গু জ্বরে আক্তার হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। ডাক্তার বাবাকে ডাবের পানি খাওয়াতে বলায় ডাব কিনতে এসেছি।
ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় শুধু আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীরা নয়, বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিপাকে পড়েছেন। দাম বেশির কারণে অসুস্থ রোগীদের খাওয়াতে পারছেন না ডাবের পানি। দাম বৃদ্ধির বিষয়টি দেখার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় লোকজন।
সালাহউদ্দীন আহমেদ নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে বিধায় ডাবের দামও বেড়েছে এটা স্বাভাবিক। তাই বলে দ্বিগুণ হওয়ার কথা নয়। আগে এক ডাব ৫০-৬০ টাকা ছিলো কিন্তু সেই ডাব এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত দামে ডাব বিক্রি করে রোগীদের জিম্মি করে ফেলেছে বিক্রেতা।
তবে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডাব কত বিক্রি করছে তা আমি জানি না। তবে বাজার মনিটরিং করে দাম বেশি রাখলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বার্তাবাজার/এম আই