ঝিনাইদহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিলকিস আফরোজ ও প্রশিক্ষক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে যানবাহন প্রকল্পের প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাৎসহ শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচারণের অভিযোগ উঠেছে। যানবাহন প্রকল্পের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত গাড়ির তেল আত্মসাৎ ও গাড়ী মেরামতের টাকা ওই দুই কর্মকর্তা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পিডি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সম্প্রতি শেষ হওয়া ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগে জানা যায, ৫ মাস আগে রাজবাড়ী জেলা থেকে শাস্তিমুলক বদলি হয়ে ঝিনাইদহে আসেন উপ-পরিচালক বিলকিস আফরোজ। ঝিনাইদহে আসার পর দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশিক্ষক সাইদুর রহমানের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে ওই দুইজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০ম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে একটি ম্যানুয়াল ও একটি অটোগিয়ার গাড়ী রয়েছে। ছুটির দিন ব্যতিত সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত দুটি গাড়ী দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ১৪ মিনিট গাড়ী চালাতে দিতে হবে। কিন্তু প্রশিক্ষক সাইদুর রহমান ডিডি বিলকিস আফরোজের সাথে যোগসাজস করে ২ থেকে ৩ মিনিট গাড়ী চালাতে দেন। দুটি গাড়ীর মধ্যে একটি গাড়ি রেখে দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুটি গাড়ীর জন্য মাসিক ৯৬ হাজার চাকা জ্বালানি খরচ ও গাড়ীর মেরামত বাবদ ২৮ হাজার ৫’শ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। কিন্তু উপ-পরিচালক বিলকিস আফরোজ ও প্রশিক্ষক সাইদুর রহমান এ বরাদ্দের অর্ধেকের বেশি টাকা আত্মসাৎ করছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিদিন ১ টি গাড়ীতে ৬ বা ৭ লিটার তেল খরচ করেন। বাকি তেলের টাকা প্রশিক্ষক সাইদুর রহমান ও ডিডি আত্মসাৎ করে। এর আগেও ডিডি বিলকিস রাজবাড়ী জেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। এ নিয়ে প্রকল্পের পিডি বরাবর অভিযোগ দিলে শিক্ষার্থীদের ফেল করানোসহ নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে সাইদুর রহমান। তাই তারা ডিডি বিলকিস ও প্রশিক্ষক সাইদুর রহমানের বদলি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে উপ-পরিচালক বিলকিস আফরোজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। অভিযোগকারীরা সুবিধা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।

বার্তাবাজার/এম আই