ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় রাতের আঁধারে এক কৃষকের শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি ও ফুলকপি গাছের বীজতলা বিনষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আগাম সবজি চাষ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।

শনিবার গভীর রাতের কোন এক সময়ে উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের যোগিবরাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষকের নাম মো. জাকির হোসেন।

এ ঘটনায় রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাকির হোসেন কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাকির হোসেনের সাথে গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে একই এলাকার হেমায়েত শেখের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এরই বিরোধের জের ধরে শনিবার বিকালে হেমায়েত শেখ, সোহেল শেখসহ আরও কয়েকজন জাকির হোসেনকে ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এর পরেরদিন রোববার ভোরে জাকির হোসেন তার ক্ষেতে গিয়ে দেখে সবজির বীজতলার সব চারা বিনষ্ট করা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি কৃষিকাজ করে সংসার পরিচালনা করি। শীতকালীন সবজি আগাম চাষ করে লাভবান হওয়ার আশায় ধার-দেনা করে উন্নত জাতের বাঁধাকপি ও ফুলকপির বীজতলা তৈরী করি। এতে বীজসহ প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে চারাগুলো বীজতলা থেকে নিয়ে দেড় একর জমিতে রোপণের লক্ষ্য ছিলো। ইতোমধ্যে জমিও প্রস্তত করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাতের আঁধারে আমার বীজতলার সব চারা নষ্ট করে দিয়েছে। এতে আমার তিন লক্ষ টাকার সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।’

এদিকে সবজির বীজতলার সঙ্গে এমন শত্রুতায় হতবাক এলাকাবাসী। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না গ্রামের সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের দাবী এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত হেমায়েত শেখ বলেন, ‘গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তিনি সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই হয়। তার সবজির চারা নষ্ট করার কোন প্রশ্নই আসে না।’

এবিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবু তাহের বার্তা বাজার’কে জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বার্তা বাজার/জে আই