নানা কৌশল করেও রেহাই পেলোনা খুনি শামীম (৩৬)। নিজেই খুন করে গ্রামবাসীদের মরদেহের খবর দেয় তিনি। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা খেলেন তিনি। বগুড়ার শেরপুরের ঝাজর মধ্যপাড়া গ্রামে লিটন মন্ডল হত্যার ঘটনায় আটক করা হয়েছে তাকে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী চায়না বেগম বাদী হয়ে চারজন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর ২৯ আগস্ট রাতে শামীমকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলাম খোকা মন্ডলের ছেলে লিটন মন্ডল, আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. শামীম সহ আরো বেশ কয়েকজন লিটনের বাড়িতে মাদক সেবন করছিল। এ সময় তাদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তারা লিটনের মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ওই ঘরের মধ্যে একটি লাশ আছে এই খবর মো. শামীম নিজেই গ্রামবাসীদের জানায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুল মোমিন মহসীন শেরপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী চায়না বেগম বাদি হয়ে মো. শামীমকে প্রধান আসামী করে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা বলেন, মামলার প্রধান আসামী শামীমকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই