বগুড়ার শেরপুরের দোয়ালসাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, পুর্নাঙ্গ কমিটি না করা, বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০ আগস্ট রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই এলাকার অভিভাবকেরা। এর একটি অনুলিপি শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের দোয়ালসাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র্র মাহাতো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থেকে নিয়মিত প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য নানা অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন। তার প্রধান শিক্ষক হওয়ার বয়স না হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির পুর্নাঙ্গ কমিটি না করে বারবার এডহক কমিটি করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও অর্থ আত্মসাৎ, বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত না থাকা, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ধুমপান করা, কোন কারণ ছাড়া বিদ্যালয় ছুটি দেয়া, ক্লাশরুমে কোচিং বানিজ্য করা, ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিংয়ে পড়তে বাধ্য করা ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রশংসাপত্র বাবদ ৩০০ টাকা গ্রহণ করাসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছেন। এতে অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই এলাকার অভিভাবকেরা।

এ ব্যাপারে দোয়ালসাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র্র মাহাতো বলেন, আমি নিয়ম মাফিক অফিস করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এখনো আমার কাছে অভিযোগ পৌছায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বার্তাবাজার/এম আই