হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়কের সীমানা (ROW) হতে ১০ মিটারের মধ্যে হাটবাজার ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা নিষেধ। সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ঢাকা-চন্দ্রা মহাসড়কে মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের এসংক্রান্ত নির্দেশনাবলী সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড ও রয়েছে। কিন্তু এ নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাসড়কের জায়গায় চুটিয়ে চলছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম। কিন্তু এসব দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব পালনে চরম উদাসীন!

সরেজমিন দেখা যায়, আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে ঢাকা অভিমুখী ঢাকা-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুত এলাকায় এবং অপরপাশের চন্দ্রা অভিমুখী পল্লীবিদ্যুত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের সীমানা হতে ১০ মিটারের মধ্যে হাটবাজার ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রমে সড়কের জায়গা ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে মহাসড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে এবং এখান দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন যেকোনো জরুরী প্রয়োজনে কিংবা দূর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ‘স্পেস’ ব্যবহার করতে পারছে না। কারণ সে জায়গা ইতোমধ্যে দখল করেছে অবৈধ চক্র। তবে কিছু বৈধ ব্যবসায়ীরাও তাদের নিজেদের সীমানার বাইরে গিয়ে মহাসড়কের এই নিষিদ্ধ ১০ মিটার জায়গা ব্যবহার করছেন।

বাইপাইল থেকে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের আগে এবং পরে সড়কের জায়গায় চুটিয়ে ইট, বালু, সুরকি রেখে ব্যবসা করছেন কয়েকজন। এছাড়াও রয়েছে স’ মিল, কাঠের দোকান, কার ও বাইক সার্ভিসিং এর দোকান। এই মহাসড়কে আবার অবাধে চলছে নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার। এরা ‘রঙ সাইড’ সহ উভয় দিক দিয়ে চলাচল করে। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকছে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীগণ। আশুলিয়া এসি ল্যান্ড অফিসের আগে একটি ইউটার্ণ রয়েছে। সেখানে চন্দ্রা অভিমুখী মহাসড়কের নিষিদ্ধ সীমানায় ইট ও বালু রাখাতে ‘স্পেস’ কমে যাওয়ায়, ব্যস্ততম সড়কের এই ইউ-টার্ণে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

অপরদিকে, চন্দ্রা অভিমুখী পল্লীবিদ্যুত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের জায়গা ব্যবহার করে বসেছে বাজার। ফলে এই অংশেও সড়কের সার্ভিস লেন সংকীর্ণ হওয়া সহ ফুটপাত দখল হয়ে গেছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা।

উল্লেখ্য, মহাসড়কের সীমানা হতে ১০ মিটার দূরত্ব সহজে বুঝা যায়। তাহলো, এই সীমানার পরেই বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো থাকে।

মুঠোফোনে এব্যাপারে কথা হয় মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: আরাফাত সাকলায়েন এর সাথে। বার্তা বাজার প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, যে স্পটগুলোর কথা বলছেন, আমরা প্রতি মাসে একবার করে গিয়ে ভেঙ্গে দেই। কিন্তু তারপরও আবার ওগুলো হয়ে যায়। তবে নতুন করে ১০ মিটারের ভিতরে এপ্রোচ সড়ক কিংবা গ্যাস কাটিং এর অনুমতি দিচ্ছি না। যেগুলো রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট সাথে নিয়ে সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।

মুঠোফোন সাভার হাইওয়ে থানার ওসি মো: আজিজুল হক জানান, বিভিন্ন সময়ে আমরা অভিযান চালিয়েছি। এই বর্ষা বাদলা শেষ হলে আমরা ওসব অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দেবো।

তবে শিল্পনগরী হওয়ায় আশুলিয়ার ব্যস্ততম এই মহাসড়ক ধরে পোশাক শ্রমিকদের নিত্য যাতায়াত করতে হয়। অধিকাংশই হেঁটে বাসায় ফেরেন। ফলে ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় তাদের ভোগান্তির সীমা থাকে না। এজন্য এই সমস্যা দ্রুত নিরসনের দাবী পোশাক শ্রমিকদের।

বার্তাবাজার/এম আই