রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী মহিলা কলেজ ও ভেন্ডাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্ডাবাড়ীতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভেন্ডাবাড়ীস্থ চারমাথায় সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী, অবিভাবক ও চলতি সনের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।

এতে বক্তব্য রাখেন চৈত্রকেোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেলদার হোসেন মন্ডল, ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রধান, আ’লীগ নেতা বাবলু মিয়া, মিজানুর রহমান, জাপা নেতা রফিকুল ইসলাম, ঠিকাদার ও অবিভাবক রাশেদুল ইসলাম, পরীক্ষার্থীনী জেনিয়া আক্তার নিপা ও ব্যাবসায়ী মাহেদুল ইসলাম মাসুম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিগত ১১ বছর ধরে ভেন্ডাবাড়ী মহিলা কলেজ ও ভেন্ডাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভেন্ডাবাড়ীর পৃথক ২টি এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে আসছে। অথচ এবারে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ উক্ত কলেজ ২টির পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্ডাবাড়ী থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দুরে খালাশপীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে নির্ধারন করছেন। এতে ওই এলাকার প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকরা উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

ভেন্ডাবাড়ীতে পৃথক ২টি কেন্দ্র থাকা সত্বেও উক্ত কলেজ ২টির কেন্দ্র কেন খালাশপীর নির্ধারন করা হযেছে তা তাদের বোধগম্য নয়। দূরের ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকদের চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হবে। মানব বন্ধনে ওই কলেজ ২টির পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্ডাবাড়ীতেই রাখার দাবী জানান হয়। অন্যথায় দাবী পুরণে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ভেন্ডাবাড়ী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নুরুন্নবী মিয়া রাজু গণমাধ্যমকে বলেন, আমিও চাই ভেন্ডাবাড়ীর কলেজ ২টির পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে ভেন্ডাবাড়ীস্থ পরীক্ষা কেন্দ্রে পুর্বের ন্যায় এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ অব্যহত থাক। আমার কলেজের বিষয়টি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে । ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম এর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে তিনিও বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভেন্ডাবাড়ীর কলেজ ২টির এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের খালাশপীর কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেকটাই দুর্ভোগ পোহাতে হবে, তাছাড়া সময় ও ব্যয়ও বাড়বে। তাই বিষয়টি দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বার্তা বাজার/জে আই