বগুড়ার শেরপুরের বৃন্দাবন পাড়া গ্রামে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী অনিকা সরকার বিন্দু (১৮) ৯ আগ বুধবার ভোর রাতে ঘরের ভিতর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।

জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ মডেল ইউনিয়নের বৃন্দাবন পাড়ার নিহত শিক্ষার্থী উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের বৃন্দাবন পাড়ার অতুল চন্দ্র সরকারের একমাত্র মেয়ে শেরউড (প্রা.) স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অনিকা সরকার বিন্দু প্রতিদিনের ন্যায় রাতে লেখাপড়া ও ঘুমানোর জন্য নিজকক্ষে যায়। কিন্তু বুধবার ভোরে পরিবারের সদস্য বাবা-মা ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনিকা সরকার বিন্দু ঘুম থেকে না ওঠায় তার মা চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। পরে ঘরের অন্য দরজা খুলে অনিকাকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখতে পায়। এসময় প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে তার মরদেহ ফ্যান থেকে নামায়। মৃত্যুর পর ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ তার মরদেহ সহ কয়েকটি ডায়েরী, তার হাতের লেখা চিঠি উদ্ধার করেছেন।

নিহতের পিতা অতুল চন্দ্র সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সে আমার একমাত্র আদরের মেয়ে ছিল, আমরা কোনো কিছু বুঝতেও পারলাম না কি কারনে সে এ ধরনের কাজ করলো।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) সজীব শাহরিন ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ডায়রী ও চিঠিতে কি লেখা আছে তা এখনো দেখা হয়নি।

বার্তাবাজার/এম আই