কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণ ও মানব পাচার চক্রের মূলহোতাসহ ৬ জন আন্তর্জাতিক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫। তাদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মেম্বারের ছেলে মুহিত কামাল (৩৪), কাদির হোসের ছেলে রোহিঙ্গা হাবিবুল্লাহ প্রকাশ লালু (৩০), দক্ষিণ লম্বরী এলাকার হাফেজুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮), রামু উপজেলার দাড়িয়ার দিঘি এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মোঃ আব্বাস মিয়া উরফে জাহাঙ্গীর (৪০), থৈয়ংগা কাটা এলাকার আব্দুল আলমের ছেলে সৈয়দুল আলম (২৪), উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুস সালামের ছেলে তাহের হোসেন (২৫)।

রোববার (৭ আগস্ট) তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।

র‍্যাব জানায়, গত ২০ জুলাই পোকখালি ঈদগাঁও এলাকার হামিদ হোসেন এবং নিজামুদ্দিনকে রাজমিস্ত্রির কাজ দেওয়ার প্রলোভনে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় তৌহিদ নামের এক যুবক। পরে মিয়ানমারের সিম ব্যবহার করে ইমুতে ফোন করে প্রতিজনের কাছে দেড় লক্ষ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। উক্ত ঘটনায় ২৩ জুলাই একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ তৌহিদকে গ্রেফতার করে। তৌহিদের দেওয়া তথ্য মতে র‌্যাব আভিযান চালিয়ে ৭ আগস্ট সকালে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় চকরিয়া-রামু-ঈদগাঁও এলাকার এজেন্ট সাইদুল আমিন এবং আব্বাসকে গ্রেফতার করে। আব্বাসের স্বীকারোক্তি মতে চক্রের মূলহোতা মুহিত কামাল ও সাইফুল ইসলামসহ আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিকটিমদের কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে গুদামঘরে বন্দি করে রাখে। এভাবে ২০-২৫ জন হলে তাদেরকে মাছধরা বোটে করে সেন্টমার্টিন নিয়ে সেখান থেকে মিয়ানমারের অপহরণ চক্রের সদস্যরা মাছ ধরার বোটে করে তাদের মায়ানমারে নিয়ে যায়। পরে মিয়ানমার থেকে ইমু এপস ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবী করে। মুক্তিপণ পেলে ভিকটিমকে মাছ ধরার বোটে করে আবার টেকনাফে নিয়ে এসে ছেড়ে দেয়।

আটকদের বিরুদ্ধে অন্তত ৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে আটকদের ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

বার্তাবাজার/এম আই