প্রেম মানে না ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাত-কুল, জাতিগত ভেদাভেদ, দেশ-বিদেশ। প্রমাণ করেছিল ঢাকা জেলার ধামরাই থানার জাদিপপুর ইউনিয়নের চুন্না গ্রামের শ্রী. অলিন সরকারের মেয়ে শ্রী. শ্রাবন্তী রায় (১৫)।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। নিয়মিত বিষ্ণু পূজা দিতেন। তিনি বিয়ে করে হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছেন। শ্রী.শ্রাবন্তী সরকার নাম বদলে নাম রেখেছে মোছাঃ হুমায়রা বেগম। এ ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল এলাকায়।

জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি গ্রামের সপিজুল ইসলামের ছেলে মোঃ আবু নাঈম (২০) সাথে দীর্ঘদিন থেকে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এক পর্যায়ে গত ৯ আগে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। শ্রী. শ্রাবন্তী রায়ের বাবা অলিন সরকার মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য ঢাকা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় বিয়ের বয়স না হওয়ায় দুই জনকেই আটক করেন তেঁতুলিয়া ও ঢাকা পুলিশ।

দীর্ঘদিন ঢাকার জেল খানায় থাকেন তারা। জেল থেকে জামিনের পর আবার ভালোবাসার টানে তেঁতুলিয়ায় চলে আসেন শ্রী. শ্রাবন্তী রায়। তারপর থেকে দুই জনেই সুখের সংসার করতে থাকেন। আজ শনিবার (৮ আগস্ট) বিকালে স্বামীর সাথে ঝগড়া ও মারপিট হওয়ায় ৯৯৯ ফোন দেন উদ্ধারের জন্য মোঃ নাঈমের স্ত্রী মোছাঃ হুমায়রা বেগম। অবশেষে তেঁতুলিয়া পুলিশ আসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হুমায়রা বলেন আমাকে এখানে নির্যাতন করে, আমি আর এ সংসার করব না।

মামলা চলমান থাকায় মেয়ের বয়স না হওয়ায় ওই মেয়েকে স্বামীর বাড়ী থেকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ৯৯৯ ফোন দিয়ে সহযোগীতা চান হুমায়রা বেগম। আমরা ওই মেয়ে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। মেয়ের বাবার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে তারা ঢাকা থেকে আসতেছে।

বার্তাবাজার/রাহা