বগুড়ার কাহালু উপজেলার আড়োলা বাজারে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট শাখা খুলে প্রায় শতাধিক গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ওই শাখার এজেন্ট ও মাদ্রাসা শিক্ষক মাসুদুর রহমান (৩১) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ খবর পেয়ে গতকাল রোববার ভোরে গাজিপুর জেলার কাপাসিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মাসুদুর রহমান কাহালু উপজেলার শিলকঁওড় গ্রামের মৃত আব্দুল বাসেদের পুত্র এবং কাপাসিয়া পূর্ব লোহাদী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।

জানা গেছে প্রায় ৪ বছর আগে কাহালু উপজেলার আড়োলা বাজারে মাসুদুর রহমান অগ্রণী ব্যাংকের একটি এজেন্ট শাখা খোলেন। এখানে লাখ লাখ টাকা রেখে প্রতারিত গ্রাহকরা জানান, এই এজেন্ট শাখায় শতাধিক গ্রাহক একাউন্ট খুলে প্রায় কোটি টাকার মত জমা রাখেন। যখন গ্রাহক তাদের প্রয়োজনে এজেন্ট শাখা টাকা তুলতে যান তখন সময় ক্ষেপন করে এই শাখার সকলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সটকে পড়েন।

গ্রাহক আকবর আলী জানান, তার ছেলেরা বিদেশ থাকেন। ছেলেদের পাঠানো ৭ লাখ টাকা আড়োলা এজেন্ট শাখায় রেখে প্রতারিত হয়েছেন। মাসুদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর কাহালু থানায় ভীর জমান প্রায় ২০/২৫ গ্রাহক।

তারা জানান, কেউ সন্তানকে বিদেশ পাঠানো জন্য, কেউ হজ্ব করার জন্য আবার কেউ প্রবাসীদের পাঠানো লাখ লাখ টাকা এই এজেন্ট শাখায় জমা রেখে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তারা প্রতারিত হওয়ার পর অগ্রণী ব্যাংকের বগুড়া ও ঢাকায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ক’রে জমা রাখা টাকা না পেয়ে কাহালু থানায় মাসুদুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

কাহালু থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, আড়োলার আবকর কাজীসহ ১৩ জন গ্রাহক মিলে একটি প্রতারণা মামলা করেন। তাদের জমা রাখা টাকার পরিমান প্রায় অর্ধকোটি টাকা। তিনি আরও জানান বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এজেন্ট শাখার লোকজন ছাড়াও অগ্রণী ব্যাংকের কোন কর্মকর্তারা এই প্রতারণার সাথে জড়িত আছেন কি-না।

বার্তা বাজার/জে আই