গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ফের স্পষ্ট করলেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পৃথক বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা’য় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। তাছাড়া স্বতন্ত্র টুইট বার্তায়ও নির্বাচন নিয়ে ওয়াশিংটনের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন উজরা জেয়া। সংবাদ সম্মেলনে সফরসঙ্গী দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সঙ্গে ছিলেন। পররাষ্ট্র সচিবকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দেয়া সূচনা বক্তব্যে উজরা জেয়া নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক মানবাধিকার নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। প্রশ্নোত্তর-পর্বেও বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।

তার সফরকালে কাছাকাছি ভেন্যু সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ বড় সমাবেশ অনুষ্ঠানে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, বড় ধরনের সহিংসতা ছাড়া সমাবেশ আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই, আশা করি পরবর্তীতেও এমন চিত্র দেখা যাবে। তিনি বলেন, সর্বত্র মুক্তভাবে মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। শক্তিশালী গণতন্ত্র এবং ভোটে সবার অংশগ্রহণের ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সমৃদ্ধি নির্ভর করছে জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাবে।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ভীতি, প্রতিশোধ ও ভয়ভীতিহীনভাবে সংবাদ পরিবেশনে সক্ষম হতে হবে। গণতন্ত্রে নাগরিক সমাজের কথা বলার জায়গা থাকতে হবে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মতবিরোধ নিরসনে সংলাপ অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়ে উজরা জেয়া বলেন, আমরা সবাই সংলাপ চাই, তবে এই প্রক্রিয়ায় আমরা সরাসরি যুক্ত নই। এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র কার্যকর ভূমিকা রাখতে চায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের সকল মন্ত্রীর কাছ থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা শুনেছি। যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নীতি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এটি নিশ্চিতে আমরা বাংলাদেশের দীর্ঘ সময়ের অংশীদার হিসেবে এখানে আমাদের ভূমিকাটা পালন করতে চাই। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত টুইট বার্তায় উজরা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতারও প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র।

আগামী ৫০ বছর এবং তারপরেও সম্পৃক্ততা আরও গভীর হওয়ার প্রত্যাশা: এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, আতিথেয়তার জন্য আপনাকে (সচিব) ধন্যবাদ। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গড়ে ওঠা চমৎকার অংশীদারিত্ব নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বলেন, আগামী ৫০ বছর এবং তারপরও বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা আরও গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনীতি, মানবিক সহায়তা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা দেখছি। এ জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, আমি এখানে এসেছি বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বের গুরুত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে সেই অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার জন্য। আমি এসেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাক্সক্ষার ওপর জোর দিতে। ইন্দো-প্যাসিফিককে ব্যাপক অর্থে সংযুক্ত এবং নিরাপদ এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর সমৃদ্ধি নিশ্চিতে বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মিয়ানমার পরিস্থিতি এখনো প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয়: উজরা জেয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন চায়। জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন নয়। তবে এর জন্য মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো অনুকূল নয়। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় এবং আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলে উদ্বাস্তু এবং আশ্রয়দানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ২.১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক প্রতিক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য অতিরিক্ত আরও ৭৪ মিলিয়ন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে এটি ব্যবহৃত হবে। এর মধ্যে মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং বাংলাদেশি স্বাগতিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের সহায়তার জন্য প্রায় ৬১ মিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দাতাদের অব্যাহত সমর্থনের কথাও জানান। বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরির যেকোনো প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি, যা বর্তমানে বিদ্যমান নেই।

যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তারা কোনো দলকে উৎসাহ দিতে বাংলাদেশে আসেননি। গতকাল সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। বৈঠকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনান্ড লু ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল বলেছে, আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়, সেটি তারা দেখতে চায়। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে। তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই কাজ করবে। আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণমূলক বলেনি; অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চেয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও মার্কিন প্রতিনিধিদল আলোচনা করেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন, কিছু যুগোপযোগী করার জন্য আইনটি আরেকটু সংশোধন হবে। তিনিও এ বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংশোধন হবে: মার্কিন প্রতিনিধিদলকে আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল সচিবালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

প্রতিনিধিদলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে তারা কী জানতে চেয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু এসেছে কিনা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা হয়েছে কিনা, এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা হয়নি। তারাও জিজ্ঞাসা করেনি। আমারও বলার প্রয়োজন হয়নি। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা হয়েছে। এ আইন নিয়ে আমি আগেও যে কথা বলেছি ঠিক সেই কথাগুলো আমি উনাদের আজ বলেছি। আগের মতো বলেছি যে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধিত হবে। উনারা পরিষ্কারভাবেই বলেছেন, সব দেশেই অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। বুধবার আমার সচিব ইউরোপীয় ইউনিয়নের টিমকে যেভাবে বলেছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে আইনি কাঠামো, সেটা বাংলাদেশে আছে। যে আইনগুলো এ ব্যাপারে সহায়ক, আমি সেগুলোর কথা উল্লেখ করেছি।

আনিসুল হক বলেন, আমরা যে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইনটি করেছি, সেটি সম্বন্ধে কথা বলেছি। এটিও বলেছি- গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে আইন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই আইনটি করেছে। এ ছাড়া উপমহাদেশে অন্য কোনো দেশে এ আইন নেই, সেটিও আমি বলেছি। মন্ত্রী আরও বলেন, তারা কিছু কিছু বিষয়ে বলেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেসব বিষয় নিয়ে তারা শুধু এটুকু বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে সেটা ভালো। আমি তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি, বাংলাদেশ আগের সংস্কৃতি নাই যে, বিচার হবে না। বাংলাদেশে এখন যেকোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয় এবং তাই হবে। তারা কোন বিষয়ে এ কথা বলেছেন জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, উনারা শহিদুল ইসলামের (গাজীপুরের শ্রমিক নেতা) মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। আমি এ কথাটাই বলেছি। এই পরিপ্রেক্ষিতে জেনারেলি যেটি আলাপ করার সেই আলাপটাই করেছি। মানবাধিকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।