দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ৮ জুলাই ‘ইয়াবার নতুন গড ফাদার’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গুচর হয়েছে। এই সংবাদটি একাংশ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

মূলত আমি একজন টেকনাফ স্থল বন্দর ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী ও আমদানীকারক। টেকনাফ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের পরিচিতি রয়েছে। আমি কোন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। বিগত সময়ে আমার ব্যবসায়ি প্রতিপক্ষরা আমাকে ব্যবসায়িক ভাবে গায়েল করতে না পেরে কৌশলে আইনশৃংখলা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে ভূল তথ্য দিয়ে আমাকে মাদক কারবারী সাজিয়ে ছিলো। পরবর্তীতে আমি সৎ সাহস নিয়ে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করি এবং আদালত সেই মামলা থেকে খালাস দেয়। এর পর থেকে আবার আমি মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানী ব্যবসা শুরু করি এবং সেই পণ্য গুলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়িদের বিক্রি করি। যা আইনশৃংখলা বাহিনী অবগত আছেন।

কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মতো একটি প্রতিষ্টিত পত্রিকায় আত্মসমর্পণ পরবর্তি ৭৫ জন ফের মাদককারবারে ফিরেছে বলে সেখানে আমার নাম দেখে আমি অবাক হয়েছি। ওই পত্রিকার প্রতিবেদকের প্রতি আমার প্রশ্ন আপনার হাতে যদি প্রমান থাকে আমাকে মাদক কারবারি হিসেবে ডকুমেন্টসহ প্রমান করুন। অন্যতায় অন্যের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিকতার মতো একটি পবিত্র পেশায় কাজ করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে শুধু শুধু নিরপরাধ মানুষকে মাদককারবারী সাজানো অনৈকতিক অধিকার অপনার নেই।

পরিশেষে এই মিথ্যা হলুদ সাংবাদিকতার বিরোধীতা করে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে এই মিথ্যা সংবাদ প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই। এই ভূয়া সংবাদ প্রত্যাহার করা না হলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। পাশাপাশি আইনশৃংখলা বাহিনীকে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের অনুরোধ জানাই। যাচাই বাছাই কালে প্র‍য়োজনী সকল সহযোগীতা করতে আমি সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। এই সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী।
নূরুল আমিন।
টেকনাফ স্থল বন্দর ব্যবসায়ী।

বার্তাবাজার/এম আই