নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর স্কুল এন্ড কলেজের নিয়োগ পরীক্ষায় ভ্যানু পরিবর্তন করে পরীক্ষা গ্রহন করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর দাবী নিয়োগ প্রক্রিয়াটি গোপনে নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্পন্ন করেন প্রধান শিক্ষক। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৭ জন, অফিস সহায়ক পদে ৫ জন ও নৈশ প্রহরী পদে ৫ জন পরীক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এছাড়া নিয়োগের বিষয়টি জানতে না পেরে চাকুরীর জন্য আবেদন করতে না পারার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।

আজ বৃহস্পতিবার(৬ জুলাই) সকাল ১০টায় নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৩টি পদে ১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন। তবে প্রবেশ পত্রে পরীক্ষার ভেন্যু নিজ প্রতিষ্ঠান নীলফামারী পঞ্চপুকুর স্কুল এন্ড কলেজের নাম উল্লেখ থাকলেও প্রধান শিক্ষক তার নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার প্রার্থীকে চাকুরী প্রদানের লক্ষ্যে সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহন করেন।

এ বিষয়ে নীলফামারী পঞ্চপুকুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আসরাফুজ্জামান জুয়েল ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়ে বার্তাবাজারকে বলেন, সভাপতি অসুস্থ্য থাকায় পরীক্ষার ভেন্যু বদলানো হয়েছে। সভাপতির গলায় সমস্যা তাই এখানে পরীক্ষা নিতেছি।

ডিজি প্রতিনিধি নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌসী আশরাফী সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ার আগেই সু-কৌশলে সটকে পড়েন।

নীলফামারী সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী শাহরিয়ার বার্তাবাজারকে বলেন, ভেন্যু পরিবতন করে পরিক্ষা নেয়া হয়েছে ঠিকই এর দায়ভার উক্ত প্রতিষ্ঠান সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের আমার না।

জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বার্তাবাজার/রাহা