দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজের একদিন পর তপন চন্দ্র মোহন্ত ওরফে নেদার (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) দুপুরে পৌর এলাকার চাম্পাতলীর ঘাটে জোসনা বেগমের ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।

নিহত তপন চন্দ্র মোহন্ত ওরফে নেদার (৪৮) পাশ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের করতোয়া পাড়া গ্রামের মৃত ক্ষীতিস চন্দ্র মোহন্ত ওরফে কাঞ্চিয়া মাস্টারের ছেলে। তিনি পেশায় পশু খাদ্যের ব্যবসায়ী ছিলেন। ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার আজাদমোড়ে মহাসড়ককের ধারে তার দোকান আছে।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৬ আগষ্ট) দুপুরে দোকান থেকে করতোয়া নদীতে সাতরিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন নিহত তপন চন্দ্র। এরমাঝেই হঠাৎ তিনি পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। এরপর পরিবারের লোকজন রাত পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন ঘাটে খোঁজাখুজি করে সন্ধান না পাওয়ায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ নিরঞ্জন সরকার বলেন, ‘বুধবার রাত ৯টায় আমরা খবর পাই। তাৎক্ষণিক পরিবারের দেখানো নদীর বিভিন্ন স্থানে ঘন্টা ব্যাপী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর থেকে আমাদের ডুবুরি দলের সদস্যদেরকে নিয়ে আসা আবারো দ্বিতীয় দফায়
নদীতে অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।’

ঘোড়াঘাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাহাত আহম্মেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময় চাম্পাতলীর ঘাটে নিখোঁজ তপনের ভাসমান মরদেহ দেখতে পায় গ্রামবাসী। পরে তারা মরদেহ উদ্ধার করলে পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে যায়।’

ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক বলেন, ‘নিখোঁজের প্রায় ২৪ ঘন্টা পর স্থানীয় লোকজন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে জানতে পেরেছি। পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’

বার্তাবাজার/এম আই