নীলফামারীর সদর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছেন সদর থানা পুলিশ। এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় ১৩ জনকে আটক করছেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহম্মাদ শাহরিয়ার জানান।

আটককৃত জামায়াত কর্মীরা হলেন, সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম মোক্তার পাড়া গ্রামে আবুজার রহমান (৫২), পঞ্চ পুকুর ইউনিয়নের হাবের তল গ্রামের আলী হোসেন, চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের আতিয়ার রহমান(৫৫), চাপড়া নাড্ডিপাড়া গ্রামের রাহিদুল ইসলাম(২৭), আরাজী কুচিয়ার মোড় গ্রামের সেরাজুল ইসলাম(২০), নতিব চাপড়া গ্রামের রুবেল ইসলাম(২৫), ফুলদ্দিন (৫৭) ও মমিনুর রহমান(৫৪) এবং বাবড়ীঝাড় গ্রামের হাফিজুর রহমান(২৭) কে আটক করেছেন পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, থানা এলাকায় নাশকতার কাজে লিপ্তসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক বিভিন্ন এলাকার সক্রীয় দায়িত্বশীল, জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিশোধের উদ্যোক্তাও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সংগঠনটির এক জেলা দায়িত্বশীলের বরাতে জানা গেছে, দারোয়ানী টেক্সটাইল মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলে আসার পথে বাবরীঝাড় নামক এলাকা থেকে সাতজনকে আটক করেছেন এবং গতরাতে দুইজনকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহম্মাদ শাহরিয়ার বলেন, বিক্ষোভের বিষয়ে আমাদের জানা নেই। শহর তারা কোনো মিছিল বা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। নাশকতার কাজে লিপ্তসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকালে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের ৯জন নেতাকর্মীকে আটক করছি।

অপরদিকে টুপামারী ইউনিয়নের উত্তর হাড়োয়া গ্রাম এলাকা থেকে পাঁচ জন হরিজনকে নয়ন বাসফর (৩২), স্বপন বাসফর (২৮), রামু বাসফর (২৪), ছোট লাল বাসফর (৩২), পার্বতীপুরের মেডিকেল এলাকার নয়ন বাসফর (৩২) কে একটি আটক করা হয়। চোরাই মালাসহ চড়াইখোলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাগর(৩০) ও গোলজার রহমানের ছেলে সাগর(২১) কে আটক করা হয়েছে। ওয়ারেন্টভূক্ত মামলায় মীর আলম, রশিদুল ইসলাম, খালেদা আক্তার, মানিক হোসেন, আশিক রানা কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই