আসন্ন ১৭ জুলাই নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৩৯ জন প্রার্থীর মাঝে বিভিন্ন প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে।

আজ সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সরকার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ঘোষণা করেন। প্রতীক বরাদ্দের সময় প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রার্থী-সমর্থকদের মনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে,খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ১১জন, সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ২৯জন। গয়াবাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ১১ জন, সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩৩ জন। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ৯ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।

খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন (মটর সাইকেল), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), মোঃ রফিকুল ইসলাম (আনারস) মোঃ রবিউল ইসলাম লিথন (চশমা)।

গয়াবাড়ী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আনোয়ারুল হক (ঘোড়া), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান (চশমা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রুকুনুজ্জামান (মোটরসাইকেল), মো. লুৎফর রহমান (টেবিল ফ্যান), মোঃ শরীফ ইবনে ফয়সাল মুন (আনারস), বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সামছুল হক (অটোরিক্সা)।

টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আফছার আলী (মটরসাইকেল), বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ময়নুল হক (চশমা), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ রবিউল ইসলাম সাহিন (আনারস) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ হারুনুর রশিদ।

এছাড়াও একইদিন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা ৩২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৯১ জন প্রার্থীদের মাঝেও উপজেলা নির্বাচন অফিস বিভিন্ন প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন করেন।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও আসন্ন তিন ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সরকার বার্তাবাজারকে জানান, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বিভিন্ন পদে বৈধ ১৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে । প্রতীক বরাদ্দের পরপর প্রত্যেক প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালাতে পারবেন। যদি কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বার্তাবাজার/রাহা