সাতক্ষীরায় যুব নেতৃত্বে ২দিনব্যাপী তথ্য অধিকার বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডোর বাস্তবায়নে একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় একশন ফর ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের আওতায় যুব নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে যুব -নেতৃত্বে তথ্য অধিকার বিষয়ে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

১৩-১৫ জুন সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন স্থান (ডিসি অফিস, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব) প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলার পৌরসভা, ফিংড়ী, ও বক্ষ্ররাজপুর ইউনিয়নে প্রচার অভিযান চালানো হয়।

যুবকরা জনগণের কাছে তথ্যের অধিকার নিয়ে অনলাইন ও অফলাইন প্রচারাভিযানের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। যুব নেতৃত্বাধীন ও জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় তথ্য অধিকার আইন স্থানীয়ভাবে প্রচার করা, লিফলেট বিতরণ, ভিডিও প্রদর্শন এবং ৩৫০ জনকে হাতে কলমে (তথ্য ফরমেট) তথ্য প্রাপ্তির আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করা এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বিষয়ে প্রচার করেন তারা।

তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করে যে, নাগরিকরা সরকার, সুশীল সমাজ সংস্থা এবং বেসরকারী সংস্থার কাছ থেকে জনসাধারণের তথ্যের জন্য অনুরোধ করতে পারে। এটি ৫ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে রাষ্ট্র্রপতির সম্মতি লাভে করে। প্রস্তাবনা: আইনটি তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগনের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিধান করে। চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি এবং তথ্য পাওয়ার অধিকার এর একটি বিচ্ছিন্ন অংশ। আরটিআই আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ এখন ও অবগত নয়। তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই) সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তথ্যের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারনা পেয়েছে।

তথ্য অধিকার আইন (আরটিআই) বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যা জনগনের অধিকার আদায়ের অন্যতম হাতিয়ার। এ আইনের মাধ্যমে মানুষ সহজেই বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা পেতে পারে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর কার্যকর প্রচারাভিযানে, মোবাইল প্রচারাভিযানগুলি তথ্য প্রাপ্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে অবহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

বার্তাবাজার/এম আই