তুরাগ থানা আওতাধীন সকল এলাকা জুড়ে সার্বিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, মাদক নির্মুল, কিশোর গ্যাং, চুরি-ছিনতাই এবং অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে গুণী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে উত্তরা ১৮ নং সেক্টরে রাজউকের তৃতীয় প্রকল্প রুপসা বিল্ডিং অডিটোরিয়ামে সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় ১৮ নম্বরে বসবাসরত এক বাসিন্দা জানান,১৮ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে অসামাজিক ও অননৈতিক কাজকলাপসহ কিছু উঠতি বয়সে ছেলেমেয়েরা বহিরাগত লোকজন নিয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট রেসিং করে এবং মাদক সেবন করে থাকে। এমনকি বিভিন্ন ফ্লাটে মেয়েরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নানা বয়সী ব্যক্তিদের বাসায় ডেকে এনে ভিডিও ধারন করে ব্লাকমেইল করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। কিন্তু সামাজিক লোক লজ্জার ভয়ে তাদের কিছু করার থাকেনা।

এ বিষয়ে উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মির্জা সালাউদ্দিন বলেন, আমরা মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। পাশাপাশি যেসব বিষয়গুলো সামাজকে দূষিত করে সেই বিষয়গুলো নজরে এনেছি। তবে এতে আপনাদের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করছি। কারণ বিভিন্ন সময় আমরা মাদকসহ আসামি ধরার পরও পর্যাপ্ত ও মজবুত সাক্ষীর অভাবে আসামিরা সহজেই আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। আপনারা এগুলোকে ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যান। ফলে সাক্ষীর অভাবে সহজেই তারা ছাড়া পেয়ে যায় এবং কিছুদিন পর পুনরায় সেই অবৈধ কর্মকান্ডেই জড়িয়ে পরে। এছাড়া উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে এ সকল বিষয়গুলোতে সকলের চোখ-কান খোলা রাখা উচিত এবং অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সার্বক্ষণিক নজরে রাখা।

এ সময় শব্দ দূষণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফেরদৌস বলেন, মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট কারে হাইডোলিক হর্ন ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়, এছাড়া অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালানোসহ প্রতিটি বিষয় আমরা নজরে এনে দ্রুতই ব্যবস্থা নিব।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন তুরাগ থানার ওসি অপারেশন মুহাদ্দিদ মোরশেদ চৌধুরী, ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী নেতা, সরকারি বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বৃন্দ সহ স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের বাসিন্দরা।