রাজধানীর বিমানবন্দরে আ.লীগের সাবেক নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে রিকশাচালকদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মো. মনির নামে এক রিকশাচালক বিমানবন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফজলুল হক নান্নু ও তার ভাই বাবুল শেখের বিরুদ্ধে রিক্সাচালকদের পিটিয়ে আহত করাসহ মোবাইল ফোন নষ্ট ও টাকা হাতিয় নেওয়ার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিমানবন্দর থানায়।
জানা যায় রাজধানীর বিমানবন্দর গোলচত্ত্বর সংলগ্ন বাবুস সালাম মসজিদের পিছনের রাস্তায় সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। পরে গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বিমানবন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী রিকশাচালক। সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান।
ভুক্তভোগী রিকশা চালক মো. মনির হোসেন বলেন, ‘তিনি ২জন যাত্রী নিয়ে বিমানবন্দরের বাবুস সালাম মসজিদের নিচের হোটেলের সামনে সন্ধ্যায় নামিয়ে দেন। পরে চলে আসার সময় শেখ ফজলুল হক নান্নু (৫৫) ও বাবুল শেখ (৫৮) বিনা কারণে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কেন গালিগালাজ করছেন জানতে চাইলে নান্নু তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হাতের কুনুই, পায়ের উরু, কোমড়ে এবং পিঠে পিটিয়ে আহত করে। সেই সাথে আমার পকেটে থাকা মোবাইলটি মাটিতে ফেলে ভেঙ্গে দেয় এবং তার ভাই বাবুল শেখ আমার লুঙ্গির কোচায় থাকা ১৪ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে নেয়। তখন জিয়াউর রহমান নামের আরেকজন রিকশা চালক এগিয়ে আসলে তাকেও তারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিটিয়ে আহত করে এবং হুমকী দিয়ে চলে যায়। পরে রিকশাচালক রাহাত, সিরাজ, রাসেলসহ বেশ কয়েকজব এগিয়ে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে।’
অভিযোগের বিষয়ে বিমানবন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিমানবন্দরের আল আমিন হোটেলের মালিক শেখ ফজলুল হক নান্নু বলেন, ‘পুলিশ বক্সের পিছনে রিকশা জ্যাম করে রাখে। তখন লাঠি দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। তখন হয়তো লাঠির বারি লাগতে পারে।’
মারধর করে টাকা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নান্নু বলেন, ‘একজন রিকশা চালকের কাছে ১৪ হাজার টাকা থাকতে পারে, সেটা সত্য না মিথ্যা আপনারাই যাচাই করে দেখেন।’
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্রা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের অফিসার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।