চিরসবুজ তারকা জয়া আহসানের আজ জন্মদিন। দুই বাংলায় একের পর এক সফল সিনেমায় অভিনয় করে যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন জয়া। নির্মাতা-প্রযোজক এবং দর্শকের কাছে তার নাম জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিচরণ জয়া আহসানের। প্রাতিষ্ঠানিক অভিনয়টা না শিখলেও পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ-গান ও ছবি আঁকা শিখেছিলেন তিনি।

অভিনেত্রী হিসেবেই জয়া আহসানের ক্যারিয়ার শুরু হয় ছোট পর্দা দিয়েই। নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেও দিয়ে দর্শকপ্রিয়তা পান তিনি। ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’-এর মাধ্যমে গুণী এই অভিনেত্রীর সিনেমায় অভিষেক হয়। এরপর নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’ সিনেমায় কাজ করেন তিনি।

প্রথম দুটি সিনেমায় জয়া তার অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুললেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। তবে ২০১১ সালে তানিম নূর পরিচালিত ‘ফিরে এসো বেহুলা’ এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত ‘গেরিলা’-য় অভিনয় করে প্রশংসিত হন।

‘গেরিলা’ তাকে এনে দেয় সাফল্যের স্বাদ। এ সিনেমার জন্য জয়া ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে।

‘গেরিলা’র পর কলকাতার নির্মাতা-প্রযোজকদেরও নজরে আসেন জয়া আহসান। সেই সুবাদে তিনি টালিউডে শাকিব খানের সঙ্গেও অভিনয় করেন। ২০১২ সালে তরুণ নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ সিনেমায় কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে অভিনয় করে কলকাতায়ও আলোচিত হন।

জয়ার অর্জনের ঝুঁলিতে রয়েছে এপার-ওপার বাংলার একঝাঁক পুরস্কার। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুবার বাচসাস পুরস্কার, সাতবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনবার ভারতের ফিল্মফেয়ার এবং একবার টেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন। এ ছাড়া অসংখ্যবার পেয়েছেন মনোনয়ন।

আকাশচুম্বী সাফল্যের পালকে উড়লেও জয়ার বয়স নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। উইকিপিডিয়ায় জয়ার জন্মসাল ১৯৭২। যদিও অসংখ্য ভক্ত হৃদয়ে ঝড়তোলা এ অভিনেত্রীর আসল বয়স বুঝি তার সৌন্দর্যের আড়ালেই চাপা পড়ে গেছে। তার বয়সের রহস্য তিনিই ভালো জানেন।