যুক্তরাজ্যের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে লন্ডন ইলফোর্ড সাউথ থেকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চ্যাটার্ড ফিজিওথেরাপিস্ট সাইদুজ্জামান (সাঈদ)। তিনিএকজন নিবেদিত এনএইচএস ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক যিনি ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবায় গত ১৩ বছর ধরে অটল উৎসর্গের সাথে কাজ করছেন, জনাব সাঈদ শুধুমাত্র রোগীদের সেবা ও যত্নই করেননি বরং কোভিড-১৯-এর বৈশ্বিক মহামারীর চ্যালেঞ্জিং সময়ে তাদের সুস্থতার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন।

বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর উনিয়নের সন্তান জনাব সাঈদের যাত্রা শুরু হয় ১৬ বছর আগে যখন তিনি যুক্তরাজ্যে আসেন।তার পিতার বিজ্ঞ বাণী – “তুমি যেখানেই থাকবে সেই যায়গাটাই ও সেখানের মানুষগুলোই তোমার আপন, তাই তোমার সর্বদা তাদের উন্নয়ন এবং সেবা সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত” – তার পিতার এই নীতিকে তিনি বুকে ধারন করে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার পিতা আব্দুলমজিদ ফকির একজন সাবেক স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক। পিতার আদর্শ ও কঠোর পরিশ্রম, সততা এবং সহানুভূতির নীতি দ্বারা পরিচালিত, সাঈদ তার দক্ষতাকে ইতিবাচক পরিবর্তনের শক্তিতে রূপান্তরিত করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে জনাব সাঈদ ফার্স্ট কন্টাক্ট প্রাক্টিশনার হিসাবে জি পিতে কাজ করছেন এবং পাশাপাশি দীর্গদিন সক্রিয়ভাবে কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত আছেন। তিনি তার দুই সন্তান ও স্ত্রী সহ লন্ডনে বসবাস করছেন ,তার স্ত্রী স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি ইলফোর্স সাউথ কনজারভেটিভ এসোসিয়ান এর একাধিক বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং এবারপার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন সাইদুজ্জামান (সাঈদ) । জনাব সাইদ স্থানীয় বিভিন্নসামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে দীর্ঘদিন ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত রয়েছেন এবং কনজারভেটিভ পার্টিরনেতা হিসেবে স্থানীয় ভাবে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

যুক্তরাজ্যের অনেক পুরোনো একটি দলকনজারভেটিভ। এটি ইউনিয়নিস্ট পার্টি বা টোরি পার্টিনামেও পরিচিত। যুক্তরাজ্যে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনঅনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। তখন বরিসজনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায়আসে। দলটির বর্তমান নেতা ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীহওয়ার পর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। দলটিএবার তাদের ইশতেহারে নানা ঘোষণা দিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ধার ও ঋণ কমানো, ২০২৯-৩০ সালনাগাদ বার্ষিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান করকমানো, জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয় বাড়ানো এবং৯২ হাজার নতুন নার্স ও ২৮ হাজার নতুন চিকিৎসকনিয়োগ করা। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা বাজেট ব্যয় জিডিপিরআড়াই শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো, ব্রেক্সিট–পরবর্তীইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করা, অভিবাসীরবৈধতার সীমা নির্ধারণের মতো বিষয়গুলো তাদেরইশতেহারে রয়েছে।