‘বিট দ্যা প্লাস্টিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাকৃবির পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস। দিবসটি উপলক্ষে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২৮০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিবেশ অলিম্পিয়াড, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গ্রীন ভয়েস।

শুক্রবার (২ জুন) গ্রীন ভয়েস বাকৃবি শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সকাল সাড়ে ৯টায় ওই পরিবেশ অলিম্পিয়াড ও সকাল ১১টায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২৮০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিটি বিভাগে পাঁচ জন করে মোট ২৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। লোকগীতি, পোস্টার উপস্থাপনা, নাটক, দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন, কবিতা আবৃতি ও নৃত্য বিভাগে মোট ১৭জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়াও রাত ৮:০০ টায় জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাকৃবি গ্রীন ভয়েসের সভাপতি হাফসা তাসনিমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা এবং গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গ্রীন ভয়েসে কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. খান মো সাইফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম-সম্পাদক মো: ইকবাল হাবিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজার রহমান এবং গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক মো. আলমগীর কবির উপস্থিত ছিলেন।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ড. জাকির হোসেন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো গাছ। বর্তমানে উপস্থিত প্রাকৃতিক বনাঞ্চল দিয়ে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব না। এর পাশাপাশি আমাদের কৃত্রিমভাবেও বৃক্ষরোপন প্রয়োজন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ একটি প্লাস্টিক ব্যাগ গড়ে দৈনিক বারো মিনিট ব্যবহার করে। কিন্তু সে ব্যাগটি প্রকৃতিতে মিশতে প্রায় ৯৪০ বছর সময় নেয়। মানুষের ব্যবহার করা বিপুল পরিমাণে মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিক গিয়ে মিশছে সমুদ্রে। এতে সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলে প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মানুষের খাদ্য তালিকার অন্যতম অংশ সামুদ্রিক খাবারেও এখন প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। এজন্য আমাদের ব্যাবহার করা প্লাস্টিক রিসাইকেল করার জন্য বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। তিনি পরিমিত প্লাস্টিক ব্যবহারের পাশাপাশি প্রাকৃতিক বনাঞ্চল রক্ষার আহবান জানান।

বার্তা বাজার/জে আই