দিনাজপুরে পৌর মেয়র সহ বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা সবাই নাশকতা মামলার এজাজারভূক্ত আসামী।

রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার মিলন সহ বিএনপির ৫ নেতা। তবে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আত্মসমর্পণ করা অন্য নেতারা হলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম খন্দকার ও যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের নেতা সোহেল প্রধান এবং ঘোড়াঘাট পৌর বিএনপির সদস্য মিলন মিয়া।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ী গ্রামের বিএনপি নেতা মাহফুজার রহমান লাভলুর চাঁতাল থেকে বিএনপি-জামায়াতের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় গত বছরের ১৬ অক্টোবর উপজেলার পালশা ইউনিয়নের পালশা গ্রামের মৃত শেখ মোসলেম উদ্দীনের ছেলে শেখ বদিউজ্জামান (৫৪) বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন সহ ৪২ জনকে আসামী করা হয়। মামলায় থানা পুলিশ ১৫টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু সহ ১০টি লোহার রড ও ৩৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার দেখায়।

ওই মামলায় মেয়র মিলন সহ মামলার বেশ কয়েকজন আসামী উচ্চ আদালত উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করে। আদালত তাদেরকে অস্থায়ী জামিন প্রদান করেন। অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন সহ একই মামলার আরো দুই আসামী স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা সাদ্দাম ও রায়হান রবিবার দিনাজপুরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। তবে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে।

একইদিন নাশকতার পৃথক আরেকটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে ঘোড়াঘাট পৌর বিএনপি নেতা মিলন মিয়া ও ছাত্রদল নেতা সোহেল প্রধান। আদালত তাদের জামিন আবেদনও খারিজ করে দুজনকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

৫ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, কোর্ট পুলিশ সূত্রে জানতে পেরেছি ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র সহ নাশকতার পৃথক দুটি মামলার ৫ জন আসামী বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। তবে বিজ্ঞ বিচারিক আদালত আসামীদেরকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।