পদ্মা ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হওয়ায় পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ১৫ ফেব্রুয়ারী পদ্মা ব্যাংক পিএলসি পটুয়াখালী শাখার সিনিয়র অফিসার ও শাখা অপারেশন ম্যানেজার শাহিনুর আক্তার এবং মেহেদী হোসাইন স্বাক্ষরিত চিঠি জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। এছাড়াও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ক্রেডিট), বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঢাকা আগারগাঁওয়ের জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

পদ্মা ব্যাংকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৯ মার্চ পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে আবুল কালাম আজাদ সম্ভব্য মেয়র প্রার্থী। তিনি পদ্মা ব্যাংক পিএলসি (তৎকালীন দি ফার্মার্স ব্যাংক লিমিটেড) পটুয়াখালী শাখার একজন ঋণ খেলাপী গ্রাহক। যিনি ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর পদ্মা ব্যাংক পটুয়াখালী শাখা থেকে ২৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন যা ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এই ঋণের জামিনদার হিসেবে ছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ। সেখানে তিনি অঙ্গিকার করেছিলেন, তার ভাই ঋণ গৃহীতা আবুল কালাম আজাদ যদি ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তবে তিনি জামিনদার হিসেবে সেই টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তুু ঋণ খেলাপি (আবুল কালাম আজাদ) গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করা এবং ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে শাখা হতে তাগাদা দিলেও কোনো সাড়া দেননি তারা।

পটুয়াখালী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র নির্বাচন অফিসার খান আবি শাহানুর খান জানান, যাচাই বাছাইয়ের দিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তাছাড়া যাচাই-বাছাইয়ের পরে কারো কোন অভিযোগ গ্রহনযোগ্য নয় বলে জানান তিনি। ঋন নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘পদ্মা ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছি সেটা ঠিক তবে বিভিন্ন কিস্তিতে সেই লোন পরিশোধ করতেছি’। লোনের মেয়াদ শেষ হলেও কেন ঋণ খেলাপি নয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘ওটা সিসি লোন এবং এখনো কিছু টাকা তারা (পদ্মা ব্যাংক) পাবে।