ইনিংসের শুরুতেই চাপে পড়েছিল জয় দিয়ে বিপিএলের দশম আসর শুরু করা দুর্দান্ত ঢাকা। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। এরপর সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন ক্রুসপুল্লে এবং ইরফান শক্কুর। তবে হাফ-সেঞ্চুরির আগেই ক্রুসপুল্লে ফিরলে ফের পথ হারায় ঢাকা। শেষ পর্যন্ত শুক্কুরের ২৭ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে ঢাকা।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই গতি হারায় ঢাকা। টাইগার পেসার আল-আমিনের বল বুঝে উঠার আগেই সজোরে হাঁকাতে চেয়েছিলেন দুর্দান্ত ঢাকার লঙ্কান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা। পরে ইনসাইড এজে তার হেলমেটে লাগে বল। এরপর পড়ে ঘিরে উঠেও দাঁড়ান এই ওপেনার। তবে খেলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। তার গাল থেকে রক্ত বের হচ্ছিল।

আঘাত পেয়ে লঙ্কান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা ফেরার কিছুক্ষণ পরই ৯ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাইফ হাসান। আল-আমিনের ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই টপ-অর্ডার ব্যাটার।

পরের ওভারেই ডাক মেরে বসেন ঢাকার দলপতি সৈকত। শুভাগতকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ-ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে নিহাদুজ্জামানের তালুবন্দি হন মোসাদ্দেক।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় ঢাকা। নিহাদুজ্জামানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিদ তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নাঈম। ১১ বলে মাত্র ৮ রানে ফেরেন ঢাকার এই ওপেনার। একই ওভারেই পঞ্চম বল ফেরেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যালক্স রস। দুই বাউন্ডারিতে ৯ বলে ১১ রানে রান-আউটে বিদায় ঘণ্টা বাজে অজি এই ক্রিকেটারের।

এরপর ক্রুসপুল্লে এবং ইরফান শক্কুরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা। এই জুটিতে আসে ৭৩ রান। তবে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পাননি ক্রুসপুল্লে। ৩১ বলে ৩ চার ও দুটি ছক্কায় ৪৬ রান করে ক্যাম্ফারের শিকার হয়ে বিদায় নেন কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নামা এই ক্রিকেটার।

শেষ দিকে তাসকিনের ১৫ রানের ক্যামিও এবং কাদিরের ৫ রানের সুবাদে এই পুঁজি দাঁড় করায় ঢাকা। তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের খুঁজে ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামবে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে আল-আমিন ও বিলাল খান দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া শুভাগত হোম, নাহিদুজ্জামান ও কার্টিস ক্যাম্ফার একটি করে উইকেট নেন।

বার্তা বাজার/জে আই