দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট শারীরিক নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে সাহেব আলী (৭১) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে শশুরের মারা যাওয়ার শোক সইতে না পেরে পূত্রবধূ ছমিরন বেগম (৪৩) নামে আরো একজন মারা গিয়েছেন। চিকিৎসকের ধারণা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন পূত্রবধূ ছমিরন বেগম।

শনিবার বিকেলে উপজেলার কালিঞ্জিরা (ওহিউড়া) গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত সাহেব আলী ওই গ্রামের মৃত কসর আলী ছেলে এবং ছমিরন বেগম ছানাউল মিয়ার স্ত্রী। নিহত সাহেব আলী এবং ছমিরন বেগম শশুর-পূত্রবধূর বাহিরে সম্পর্কে চাচা-ভাতিজিও হন। অর্থাৎ সাহেব আলী ভাইয়ের মেয়ের সাথে নিজের ছেলের বিবাহ দিয়েছিলেন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন আগে থেকে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ছিলেন নিহত সাহেব আলী। এছাড়াও বয়সের কারণে শারীরিক নানা জটিলতা ভূগছিলেন এই বৃদ্ধ। শনিবার বিকেলে নিজ বাড়িতেই মারা যান বৃদ্ধ সাহেব আলী। এর কিছু সময় পরে শশুরের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন পূত্রবধূ ছমিরন বেগম। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকেও মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতদের প্রতিবেশী লিটন মিয়া জানান, নিহত ছমিরন বেগম ইতিপূর্বে একবার হার্টস্টোক করেছিলেন। আজ বিকেলে কিছু সময়ের ব্যবধানে শশুর এবং ছেলের বউ মারা গেছেন। আগামীকাল রবিবার সকাল ১১টায় দুজনের দাফন হবার কথা রয়েছে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ পার্থজ্বীময় সরকার জানান, সন্ধার আগে পরিবারের লোকজন ছমিরন বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। তবে আমরা তাকে মৃত্যু অবস্থায় পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

বার্তাবাজার/এম আই