শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১৭টি আবাসিক হলের ডাইনিংয়ে খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১২ ডিসেম্বরে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের এক সভায় ৪ নম্বর সিদ্ধান্ত মোতাবেক খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। ফলে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। তবে দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামক এক ফেসবুক গ্রুপে শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক পোস্ট করতে দেখা যায়। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে দেখা করে খাবারের দাম কমিয়ে পূর্বের ন্যায় রাখার জন্য আহ্বান জানান।

ফলে দুপুরের খাবারের বর্ধিত মূল্য ৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে পূর্বের ন্যায় ২৮ টাকা এবং রাতের খাবার ২৫ টাকা থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আগের মূল্যেই খাবার পাচ্ছেন রাবি শিক্ষার্থীরা।

দাম কমানোর বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার সাথে আমাদের মিটিং ছিলো। সেখানে খাবার মূল্য কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা চিন্তা করে খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ডাইনিং কর্মচারীদের নিয়ে বসে খাবারের গুনগত মান ঠিক রেখে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাথে রাবি উপাচার্যের এক বৈঠকে শাখা ছাত্রলীগ প্রাধ্যক্ষ পরিষদের খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করার অনুরোধ জানান বলে দাবি করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব।

রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা ভিসি স্যারকে গতকালের খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করার জন্য অনুরোধ জানাই। ভিসি স্যার সেটি রেখেছেন; এবং খাবারের সমস্যা নিরসনে হল প্রভোস্ট-সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিটিংয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিবে খাবারের দাম কতটুকু বাড়ানো যায়—এমনটাই জানিয়েছেন ভিসি স্যার।

এর আগে, গত ২০২২ সালের জুলাই মাসের ১ তারিখে দুবেলা খাবারের দাম ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছিলো। দুপুরের খাবার ২৪ টাকা থেকে ২৮ টাকা এবং রাতের খাবার ১৮ টাকা থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো।

বার্তা বাজার/জে আই