লালমনিরহাট জেলার তিনটি সংসদীয় আসনের তিনটিতে নিরংকুশ জয় পেয়েছে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাটেও সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পযন্ত চলে।

বেসরকারি ফলাফলের সুত্রে হতে জানা যায়, তিনটি আসনে গড়ে শতকরা ৩২.৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। তবে সতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন অনেক ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে কিছু সেন্টারে কোন এজেন্টকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি কিছু সেন্টারে জাল ভোট দিয়ে ব্যালটবাক্স পূর্ণ করা হয়েছে। লালমনিরহাট ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে ১৮ টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে পুনরায় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি সিইসির কাছে লিখিত আবেদন করার কথাও জানিয়েছেন। অপর দুটি আসন ০২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) সিরাজুল হক বিকেল চারটার পর, ০১ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্কর দুপুর দুইটার পর ভোট বর্জন করার ঘোষণা দেন। তবে ভোট গণনা শেষে (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) ০১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) মোতাহার হোসেন এমপি ৮৯ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান ৭৪ হাজার ৩২ ভোট পেয়েছেন। লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) নুরুজ্জামান আহমেদ ৯৭ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (ঈগল) সিরাজুল হক ৫১ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়েছেন। লালমনিরহাট-৩ সদর(নৌকা) মার্কার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) বক্কর হোসেন ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, সদর উপজেলার বিএনপি অধ্যুষিত বড়বাড়ী ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে ১০০ এর নিচে ভোট পড়েছে।তার মধ্যে বড় বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে মাত্র ৪২ টি ভোট পরেছে। এর আগে ভোরবেলা পাটগ্রামের তিনটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ও দিবাগত রাতে একটি কেন্দ্রে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

বার্তাবাজার/এম আই