লালমনিরহাট ০২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি’র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফ নামায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ২৫ বিঘা কৃষি জমির মূল্য দেখিয়েছেন ৩১ হাজার ৫ শ টাকা, যার শতক প্রতি মূল্য দাঁড়ায় ৩৮ টাকা আঠারো পয়সায়। এছাড়া পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৩৫ বিঘা জমির মৎস খামারের মূল্য দেখিয়েছেন মাত্র ৭০ হাজার টাকা, যার শতক প্রতি মুল্য দাঁড়ায় ৬০ টাকা ষাট পয়সায়।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের হলফনামা অনুযায়ী বর্তমানে তার বার্ষিক আয় মোট ৩২ লক্ষ ৬ হাজার ৪ শত ৬ টাকা। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বার্ষিক আয় ছিলো, ৩৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮শত ৫৫ টাকা। প্রতিমন্ত্রী থেকে পুর্ণ মন্ত্রী হবার পরও বিগত ৫ বছরে মন্ত্রীর বার্ষিক আয় কমেছে ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪ শত ৪৯ টাকা। এছাড়া পৈত্রিক সুত্রে তিনি ২৫ বিঘা কৃষি জমি, ২০ শতক অকৃষি জমি, ৩৫ বিঘা চা বাগান, রাবার বাগান ও মৎস খামার ও ঢাকায় একটি প্লটের মালিক।

মন্ত্রীর নগদ অর্থ রয়েছে ৯৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ২শত ৫৪ টাকা, ব্যাংকে ২ কোটি ১৪ লক্ষ ৪ হাজার ৯ শত ৯৭ টাকা, স্থায়ী আমানত হিসেবে ব্যাংকে ২০ লক্ষ টাকা জমা দেখানো হলে এর আগের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যাংক জমা ছিলো ১ কোটি ৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫শ ৮৩ টাকা।হলফনামায় দেয়া তথ্যানুযায়ী, ৫ বছর আগে মন্ত্রীর কৃষি খাত থেকে বার্ষিক আয় ছিলো ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫ শত টাকা আর বর্তমান আয় হচ্ছে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬ শত টাকা। দোকান বা বাড়ি ভাড়ার আয় ৯২ হাজার থেকে বাড়িয়ে হয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৯ শত টাকা। বর্তমানে ব্যাংকের আমানত থেকে বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯০৬ টাকা উল্লেখ্য থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফ নামায় ব্যাংকের আয় ছিলো না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় মৎস খামার থেকে বার্ষিক আয় উল্লেখ করা না থাকলেও

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় মৎস খামার থেকে বার্ষিক আয় ছিলো ১৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫শত ৬০ টাকা।

বার্তা বাজার/জে আই