ফেঁসেই গেলেন মাগুরা জনতা ব্যাংকের প্রধান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম রিপন। অবশেষে মৃত ব্যক্তির হিসাব থেকে আমানতের টাকা আত্মসাতের দায়ে তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আমানতকারীর টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।

অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় নিয়মানুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ চুড়ান্ত চাকরিচ্যুতির পদক্ষেপ নিতে পারেন।

উল্লেখ্য, শহরের আতর আলী সড়কের ব্যবসায়ি আতিকুর রহমান ২০০২ সালের ৩০ মে মাগুরা জনতা ব্যাংকের প্রধান শাখায় একটি স য়ী হিসাব (নং-০১০০০১১৩১৮২৩৬) খোলেন। হিসাব খোলার প্রায় একদশক পর ২০১৩ সালে তিনি মারা যান। ওই সময় তাঁর ব্যাংক হিসেবে ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৬ টাকা স য় ছিল। ওই ব্যাংক হিসাবে কোনো নমিনির নাম উল্লেখ ছিলো না। এই সুযোগে ব্যাংকের তৎকালিন ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম রিপন আমানতের ৮ লাখ টাকা তুলে আত্মসাত করেন।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ওই হিসাব থেকে টাকা তুলে আত্মসাতের প্রায় তিন বছর পর মৃত আতিকুর রহমানের ভাতিজা গোলাম হায়দার গত ৩০ আগস্ট জনতা ব্যাংকের প্রধান শাখায় যান। তিনি ওই ব্যাংক হিসাবের ‘ব্যাংকস্টেটমেন্ট’ তুলতে গেলে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নজরে আসে। পরে ব্যাংকের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্তে ব্যাংকের তৎকালিন ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম রিপন ওই হিসাব থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে প্রমানিত হয়। পরে জনতা ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মোঃ মাহমুদ উল মতিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম রিপনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

ব্যাংক আইন সম্পর্কে অবগত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও একজন আইনজীবী বলছেন, আমানতের টাকা আত্মসাতের মতো গুরুত্বর অপরাধের একমাত্র শাস্তি চাকরিচ্যুতি।

বার্তাবাজার/এম আই