তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমলেও বেড়েছে কাউনিয়া পয়েন্টে। তবে পানি উঠা নামা করার কারনে তীরবর্তী মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে।

বুধবার বিকালে ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। তবে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েণ্টে পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গতকালের তুলনায় আজ পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে।

অপরদিকে বুধবার সকালে কাউনিয়া পয়েন্টে পানি কম থাকলে রাতে বৃদ্ধি পায়।সব শেষ তথ্য অনুযায়ী কাউনিয়া পয়েন্টে বিকেল তিনটায় পানি বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমে গেলেও রয়েছে এখনো কর্দমাক্ত রাস্তাঘাট। কিছু বাড়ী ঘরে পানি থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বন্যার্তরা। বুধবার ভোরে ভারতের উত্তর সিকিম রাজ্যে তিস্তা অংশের বাধ ভাঙ্গা ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তা এলাকায় মানুষ বন্যার কবলে পরে। তিস্তা দুই পাড়ের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষ বুধবার দিবাগত রাত উৎকন্ঠায় পার করে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করলে স্বস্তি ফিরে তাদের মাঝে। এঘটনায় বন্যা পরবর্তী ভাঙ্গণের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। হটাতেই পানি আসায় গরু -ছাগল নিয়ে ঠাই নিয়েছেন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিগণের মাধ্যমে মাইকিং করে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনেরপক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুত রয়েছে।

অপরদিকে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণ বেড়ে যাওয়া তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি উঠা নামা করছে। আমাদের পক্ষ থেকে সকল ধরনের খবর রাখা হচ্ছে।

বার্তাবাজার/এম আই