উচ্চশিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য বিদ্যাসাগর পুরস্কার পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারী।
গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কলকাতার সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদ্যাসাগর সোসাইটি, ঢাকা বাংলাদেশ যৌথভাবে তাঁকে এ পদকে ভূষিত করেছেন।
যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, উদারতাবাদ, প্রগতিবাদ, লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে তার লেখনি এবং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কলকাতার সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাজ কুমার কোঠারী এবং বিদ্যাসাগর সোসাইটি ঢাকা, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল হাই তাঁকে এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
এর আগে, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদ্যাসাগর সোসাইটি, ঢাকা কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত বিদ্যাসাগর অ্যান্ড দ্য এপিস্টেম অব বেঙ্গল শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলকাতাস্থ ভারতী ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
এব্যাপারে অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, কলকাতার সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদ্যাসাগর সোসাইটি ঢাকা যৌথভাবে আমাকে এ পুরস্কার প্রদান করায় আমি আনন্দিত এবং উভয় কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ।
আমৃত্যু যুক্তিবাদী, প্রগতিশীল, বিজ্ঞানমনষ্ক এবং সকল সামাজিক অনাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে লডাকু বিদ্যাসাগর নামের মানুষটির আসন ছাত্রজীবন থেকেই আমার চৈতন্যের মর্মমূলে প্রোথিত। উপাচার্য হিসেবে যতটুকু সুযোগ পেয়েছি সেই চৈতন্যের প্রকাশই ঘটিয়েছি এবং আমার লেখকি সত্ত্বার পেছনেও কাজ করে এই মানবতাবাদী ভাবনা। পুরস্কারের মাধ্যমে প্রাপ্ত স্বীকৃতি আমাকে নিরবচ্ছিন্ন মানবসাধনায় গতি সঞ্চার করবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ড. রাশিদ আসকারী একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, মুক্তবুদ্ধির লেখক, কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, অনুবাদক এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত।
ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার