রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী বাজার এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণে এক কিশোরী আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। বিষয়টি পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভেন্ডাবাড়ী বাজারের বাসিন্দা ও ভেন্ডাবাড়ী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দম্পতি আশরাফুল ইসলাম ও নুরজাহান বেগমের একমাত্র পুত্র মুরতাসিম ইয়াকিম শিষ (১৭) এর সঙ্গে প্রতিবেশী ওই কিশোরীর প্রায় ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তাছাড়া ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও ধর্ষক মুরতাসিম ইয়াকিম শিষ একই ক্লাশে পড়ালেখা করতো। তারা ২০২৩ সালে দু’জনে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়।

একই ক্লাশে পড়ালেখা ও প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে প্রত্যহ দেখা সাক্ষাৎসহ মোবাইল ফোনে কথোপকথন হতো তাদের। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুরতাসিম ইয়াকিম শিষ ওই কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করলে আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

এদিকে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রেমিক মুরতাসিম ইয়াকিম শিষকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানাভাবে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী কিশোরী নিরুপায় হয়ে প্রেমিকের প্রভাবশালী পিতা আশরাফুল ইসলাম ও মাতা নুরজাহান বেগমকে বিষয়টি অবগত করলে তারা গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এতে ওই কিশোরী অস্বীকৃতি জানালে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

অবশেষে অসহায় কিশোরী বিষয়টি তার বাবা মাকে জানালে তারা বিয়ের জন্য ওই শিক্ষক দম্পতির নিকট ধর্না দিয়ে ব্যর্থ হয়ে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পীরগঞ্জ থানায় এজাহার দাখিল করে।

বার্তাবাজার/িএম আই