বগুড়ার শেরপুরে গোড়তা গ্রামে আদিবাসীদের চাষ করা জমি দখলের অভিযোগে ২৮ আগস্ট সোমবার সকালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলা ভবানীপুর ইউনিয়নের গোড়তা গ্রামের আদিবাসী নাদু শিংয়ের দখলের ছয় বিঘা জমিতে একই এলাকার মজিবর রহমান ও আজগর আলী অন্তত ২’শ জন ধারালো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এনে তার জমি অবৈধভাবে দখল করে। নাদু শিংসহ আদিবাসী পরিবার জমি দখলে বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। এঘটনা তারা পুলিশকে অবগত করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসতে দেরি করার কারণে তার জমি ওই দুইব্যক্তি দখল নিয়ে আমন ধানের চারা রোপন করেছে। শতাধিক আদিবাসী নারী পুরুষ পুলিশের কাছে তাদের জমি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছে।

আদিবাসী ইউনিয়নের শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি গজেন সিং ও সাধারণ সম্পাদক প্রাণ কুমার সিং জানান, এক বছর ধরে স্থানীয় জোদদার পরিবারগুলো আম্বইল ও গোড়তা গ্রাম থেকে আদিবাসী পরিবারগুলো উচ্ছেদের জন্য জোরপূর্ব দখল করে নিচ্ছে। এ নিয়ে থানা পুলিশের কাছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোনো উপকার পাইনি। প্রতিদিনই সন্ত্রাসীরা আদিবাসিদের পরিবার গুলোকে জিম্মি করে জমি দখল করে নিচ্ছে।

এ প্রসঙ্গ নিয়ে আজগর আলী বলেন, ২৮ আগস্ট সোমবার সকালে তার তিন বিঘা জমি এবং মজিবর রহমানের তিন বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। এই চারা রোপনের সময় স্থানীয় আদিবাসীরা বাধা দিতে এলে তাদের পক্ষেও গ্রামের লোকজন এসেছিল। এই জমি তাদের ক্রয় জমি বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরেই সোমবার সকালে গোড়তা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।

এ প্রসঙ্গ নিয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. সানজিদা সুলতানা বলেন, জমিজমা নিয়ে আদিবাসীদের সাথে স্থানীয় জোদদারদের এই বিরোধ তদন্ত করে খুব দ্রুতই নিষ্পত্তি করা হবে।

বার্তাবাজার/এম আই