বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ‘শেরপুর সরকারি কলেজ’এর আওতাভুক্ত জায়গা থেকে গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২১আগস্ট সোমবার সকালে কলেজের পূর্ব পার্শ্বস্ত মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বের প্রায় সারে ৬ শতাংশ জায়গা থেকে ৪টি মেহগনি গাছ কেটেছে বলে অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ থানা-পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।

শেরপুর থানার এসআই সাইফ আহম্মেদ জানান, প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যক্তির জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন অভিযুক্ত লায়লা রহমান। তিনি পৌর শহরের শ্রীরামপুর পাড়ার মৃত গাজিউর রহমানের স্ত্রী। লায়লা রহমান জানান, তার নিজ নামে দলীলকৃত সম্পত্তি থেকে গাছ কাঁটা হয়েছে এবং গাছ লাগানো অংশের জায়গা তার ‘দীর্ঘদিনের দখলীয় সম্পত্তি। তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানের সাথে চলমান মামলায় বিজ্ঞ আদালতের রায় পেয়েছি।

জানা গেছে, ১৯৬৭ সালের ২৫ শে নভেম্বর স্থাপিত হয় শেরপুর কলেজ। শেরপুর কলেজ প্রতিষ্ঠার পিছনে এলাকার হিন্দু, মুসলমান, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও সমাজের নানা শ্রেণীর লোকের অবদান ছিলো। তথ্যানুযায়ী, মোট ১০ জনের দানকৃত প্রায় ৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় শেরপুর কলেজ। এর পরে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে জাতীয়করণের মাধ্যমে বর্তমানে কলেজটি সরকারি হয়।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যক্তির মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে, শেরপুর সরকারি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ প্রভেসর মো: রেজাউল করিম প্রধান বলেন, আমি মাত্র দুই মাস হলো এখানে যোগদান করেছি। মামলার বিষয়ে সাবেক কর্মকর্তাগণ ভালো জানেন, তবে এ বিষয়ে আপিলের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শেরপুর সরকারি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মোছা. সানজিদা সুলতানা জানান, দীর্ঘদিনের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান শেরপুর সরকারি কলেজ। সেখানে প্রতিষ্ঠানের দখলীয় সম্পত্তিতে ব্যক্তির দায়েরকৃত মামলায় পক্ষভুক্তদের কখনও নোটিশ জারি করা হয়নি। এ বিষয়ে সরকারিভাবে আইনগত পদক্ষেপের পক্রিয়া চলছে।

বার্তা বাজার/জে আই