পটুয়াখালীতে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে দল থেকে অব্যাহতি ও সদ্য পৌর কমিটির পদ বঞ্চিত নেতা মোঃ শহিদুল ইসলাম গং কর্তৃক সাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যা ও বানোয়াট এবং মাহানিকর বক্তব্য ও অভিযোগের প্রতিবাদে জেলা কৃষক লীগের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরদার সোহরাব হোসেন।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে সোহরাব হোসেন বলেন, পটুয়াখালী পৌর কৃষক লীগের সাবেক আহ্বায়ক বর্তমানে পদ বঞ্চেত মোঃ শহিদুল ইসলাম কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে ১২ মে রোজ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য বক্তব্য দিয়ে আমাকে সামাজিক রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে জেলা কৃষক লীগের এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন,(সরদার সোহরাব হোসেন), আমি ১৯৮৩ সালে স্কুল কমিটির ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৮ সালে পটুয়াখালী জেলা ছাত্র লীগের সদস্য, ১৯৯২ সালে সহ-সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে সহ-সভাপতি ছিলাম। ১৯৯৫ সালে জেলা যুবলীগের সদস্য ও সদর উপজেলা যুবলীগের যগ্ম আহ্বায়ক এবং ১৯৯৮ সালে জেলা যুবলীগের সদস্য ও সদর উপজলা যুবলীগের আহবায়ক নির্বাচিত হই। ২০০২ সালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। ২০০৬ সালে জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এবং ২০১৩ সালে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ২০২১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হই এবং একই বছর ১১ এপ্রিল জেলা কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক দায়িত্ব লাভ করি। দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজনৈতিক সকল প্রোগ্রাম সফলভাবে করে আসছি। এর পর পূর্বের জেলা কমিটিতে ৮১ সদস্যের মধ্যে ৪১ সদস্যের কমিটির নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার এক পর্যায় কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ মোতাবেক জেলা কৃষক লীগের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ পূর্বক পূর্ণাঙ্গ কমিটির কো-অপশন করার জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি ২৪.১২.২০২২ ইং তারিখ কেন্দ্রীয় কমিটির মৌখিক নির্দেশে কো-অপশন কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এরপর আমি ও আমার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আলী হোসেনসহ জেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ৩১.০৩.২০২২ তারিখ মোঃ শহিদুল ইসলামকে আহবায়ক ও মোঃ জহিরুল ইসলাম খানকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করে তিন মাস মেয়াদি অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে পৌর শাখার কৃষক লীগের ০৯টি ওয়ার্ড কমিটি সম্পন্ন করে পৌর কৃষক লীগের সম্মেলন করে পৌর শাখা কৃষক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে অন্যথায় পৌর কৃষক লীগ কমিটি আপনা আপনি বাতিল বলে গণ্য হবে।
পটুয়াখালী জেলা কৃষক লীগের সদস্য ও পৌর কৃষক লীগের আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলামকে বার বার তাগিদ দিলেও সে কোন কর্নপাত করেনি এবং সংগঠনের কোন কার্যক্রমে না থাকায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক পূর্বের আহবায়ক কমিটি বাতিল করে পৌর কৃষক লীগের সদস্য সচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম খানকে আহবায়ক ও জেলা কৃষক লীগের সদস্য মোঃ ফারুক হেসেন রানাকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন ও প্রস্তুত কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এ কমিটিতে আহবায়ক পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পৌর কৃষক লীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলামগং আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট এবং মানহানিকর মূলক লিখিত অভিযোগ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। যা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরদার সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে শহিদুল ইসলামগং কর্তৃক মিথ্যা ও বানোয়াট এবং মানহানিকর অভিযোগ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করায় গলাচিপা উপজেলা কৃষক লীগরে সাবেক আহবায়ক মোকছেদ হাওলাদার, দুমকি উপজেলার সাবেক সাধোরন সম্পাদক রেজাউল হক রাজন, সহ-সভাপতি এমএ মান্নান খান কৃষক লীগ থেকে পদ বঞ্চিত হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা পটুয়াখালী পৌর কৃষক লীগ থেকে সদ্য পদ বঞ্চিত মোঃ শহিদুল ইসলামের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য ও অভিযোগ করারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সরদার সোহরাব হোসেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালমা জাহান, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সফিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মাসুম বিশ্বাস, পৌর শাখার আহ্বায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মোঃ ফারুক হোসেন রানা, কলাপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সৌরব সিকদার, কৃষকলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান, আবুবকর মাদবর, দোলন ঢালী, শাহাদাৎ হোসেন সবুজ, সোহেলসহ অন্যাণ্য কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ।
বার্তাবাজার/এম আই