মা হালিমা আক্তার (৪৫) ও ছেলে আরাফাত (১৬) একসাথে এসএসসি উত্তির্ন হয়েছেন। ছেলে ধানীখোলা দক্ষিণ ভাটিপাড়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়,ত্রিশাল ও মা ত্রিশাল কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ ভোকেশনাল শাখা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। শুক্রবার ফল প্রকাশের পর মা-ছেলের এই সাফল্যের বিষয়টি প্রকাশ পায়।

ছেলে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড থেকে এবং মা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) অংশ নিয়ে ছিলেন। তারা ত্রিশালের ছলিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

জানা যায়, ফলাফলে মা হালিমা আক্তার চেয়ে এগিয়ে আছেন ছেলে আরাফাত। আরাফাতের অর্জিত জিপিএ- ৪.৬৭ এবং মা হালিমা আক্তার জিপিএ-৪.১৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছেলে আরাফাত ধানীখোলা দক্ষিণ ভাটিপাড়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবং মা হালিমা আক্তার ত্রিশাল কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ ভোকেশনাল শাখা থেকে পরীক্ষা দিয়ে তাদের এই সাফল্য।

মাধ্যমিক পাশ করা হালিমা আক্তার উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানান, লেখা-পড়ার বড় ইচ্ছেছিল। পিতার বাড়িতে সে ইচ্ছে পূরণ হয়নি। সংসারে তার তিন সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর স্বামীর অনুপ্রেরণায় ত্রিশাল কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি হয়ে সন্তানের সাথে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর নাগাদ উচ্চ মাধ্যমিক পাশের খবর পান তিনি। খবর শুনে আনন্দে চোখের জল গড়িয়ে পড়েছে। একই সাথে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ করে তারা এলাকায় সারা ফেলেছেন। ফল প্রকাশের পর আশপাশের মানুষ অভিনন্দন জানাতে আসছেন৷

ছেলে আরাফাত জানায়, একসাথে লেখা-পড়া করতে গিয়ে মাকে তার বন্ধুর মতোই মনে হয়েছে। সুখ-দুঃখ একসাথে ভাগ করে নিয়েই লেখা-পড়া করেছে তারা। সাফল্যও পেয়েছে একসাথে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালিমা আক্তার ছলিমপুর ইউনিয়নের নারী সদস্য। ত্রিশাল কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ অধ্যক্ষ জানান, মা-ছেলে দুজনের এই সাফল্য সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার।

বার্তা বাজার/রিয়াদ