ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আঠারবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামাত নেতা হওয়ায় অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আঠারো বাড়ি ইউনিয়ন ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে কলেজ চত্বরে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ শেষে ছাত্র লীগের নেতৃবৃন্দরা অধ্যক্ষের রুমে তালা লাগানোর চেষ্টা করে।

সে সময় সেখানে উপস্থিত থাকা আঠারবাড়ি তদন্ত কেন্দের ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম তা নিষেধ করলে, তখন নেতারা তালা না লাগিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে বলে আলট্রমেডাম দেন।

জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নে উপস্থিত ঐতিহ্যবাহী আঠারবাড়ি ডিগ্রি কলেজের গত ১০ মে ২০২৩ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেয়া হয় অত্র কলেজের সমাজকর্মে সহকারী অধ্যাপক মো. খায়রুল কবীরকে। নিয়োগের পর থেকে উঠে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে আলোচনায় উঠে আসে তিনি নাকি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার জামাতে ইসলামের নায়েবে আমির। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে বলে দাবি করেন নেতারা। সে সময় নেতারা অধ্যক্ষ খায়রুল কবীরকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবি জানান। তা না হলে আরো কঠিন থেকে কঠোর কর্মসূচী দেবে বলে বক্তব্যে বলেন তারা।

আঠারবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা বেঁচে থাকতে আমাদের কলেজে স্বাধীনতা বিরোধী কাউকে এমন দায়িত্ব নিতে দেবো না। যারা তার নিয়োগের সাথে জড়িত রয়েছে এবং তাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তাদের কাউকেই আমরা ছাড় দেবো না। পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধন বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. খায়রুল কবীর নিয়োগী বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত অত্র কলেজেই শিক্ষকতা করে আসছি, এখানে আমি সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষক। তাই জ্যেষ্ঠতা মেনেই কতৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিয়েছে। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সুন্দর ভাবে কলেজটাকে পরিচালনা করে আসছি। কলেজের বাহিরের একটা পক্ষ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যারা আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তারা কলেজের কোন ছাত্র না তারা সবাই বাহিরের ছেলে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজ কমিটির সভাপতি মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন এই মুর্হুতে কিছু বলতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে ডিসি স্যারের সাথে কথা বলব।

বার্তাবাজার/রাহা