কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউনিয়নে দুই বোনকে বাদ দিয়ে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যান এসআর রহিম পারভেজের বিরুদ্ধে।

এঘটনায় গত ৩১শে আগস্ট বৃহস্পতিবার ওয়ারিশ বঞ্চিত দুই বোন বাসনা বেগম ও শিউলি আক্তার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগটি আমলে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি)#৩৯;কে তদন্তভার প্রদান করেন ইউএনও।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামের মৃত নাসির মিয়ার ছেলে আবদুস ছোবাহান তার স্ত্রী ও ৩ছেলে ৬মেয়ে সহ মোট ১০জন ওয়ারিশ রেখে মৃত্যুবরন করেন। মৃত আবদুস সোবহানের ১০জন ওয়ারিশ থাকা সত্বেও গত ০৪ই জুন ২০২৩ তারিখে ৮জনকে ওয়ারিশ দেখিয়ে সনদ প্রদান করেন চেয়ারম্যান এসআর রহিম পারভেজ।

ভুক্তভোগীরা জানান, আমাদের বঞ্চিত করে চেয়ারম্যানের দেয়া এই ওয়ারিশ সনদের কারনে আমরা আমাদের পিতার কোটি টাকার সম্পদ থেকে বঞ্চিত হলাম। বেঁচে থাকতেও আজ কাগজপত্রে আমাদের কোন অস্তিত্ব নেই। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পূর্বেও জীবিত ব্যাক্তিকে মৃত দেখিয়ে ওয়ারিশ সনদ দিয়েছেন এই চেয়ারম্যান।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এসআর রহিম পারভেজ বলেন এই ঘটনার জন্য ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার সফিকুল ইসলাম দায়ী। মেম্বার বলাতে আমি স্বাক্ষর করেছি।

৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন আমি অনেকদিন দেশের বাহিরে ছিলাম। গ্রামের অনেককেই চিনি না। সনদের সুপারিশ করাটা আমার ভুল ছিলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনি বলেন ওয়ারিশ বঞ্চিত দুই বোনের অভিযোগ পেয়েছি। এমন কাজ মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়।

এসিল্যান্ডকে তদন্তভার দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বার্তা বাজার/জে আই