পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৪৮ নং মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৃপ্তি রানী ভৌমিক ও তার সহকারী শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের অনিয়ম, অপরাধ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবকরা।

অভিযোগ পেয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জরুরি তদন্ত স্বপক্ষে ব্যবস্থা নেয়ারর নির্দেশ দিয়েছেন, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা।

জানাযায়, ১৭ ই জুলাই (সোমবার) মহিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মহিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৃপ্তিরানী ভৌমিক ও সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিনের নানাবিধ অনিয়মের বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগ করেন দায়ের করেন ।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কর্তৃক নির্ধারিত তার সহকারী শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের নিকট প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের কম মূল্যায়ন করা হয়। পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তাদের প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের ভিন্ন হলরুমে পরীক্ষা নেয়া হয়, বর্তমানে সৃজনশীল প্রশ্নপত্র হওয়া স্বত্বেও তার প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের ফলাফল ৯০% এবং অন্য শিক্ষার্থীদের ৬০% নম্বর উত্তির্ন করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করা। শিক্ষার্থীদের অর্জিত ফলাফল পরিবর্তন করে ইচ্ছে মতো ফলাফল প্রকাশ করা। তার অমতে অভিবাকদের অমূল্যায়ন করা। শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্য দৃষ্টি ও তার কথা শুনলে তাদের মানষিক নির্যাতন করা। প্রতিষ্ঠানে সরাকারি বরাদ্দ ও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্জিত অর্থে কোন কাজ না করে আত্মসাৎ করাসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

এর আগে গত ২৬ জুন শ্রী বাবুল দাস নামের এক অভিবাবক বিদ্যালয়ের অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু অভিযোগ তদন্তের পূর্বেই শ্রী বাবুল দাসকে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেন ঐ শিক্ষিকা।

এ বিষয়ে মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক আকন বলেন, তৃপ্তি রানী ভৌমিক এই বিদ্যালয়ে ৩০ বছর চাকরি করছে, তাই সে নিজেকে এই বিদ্যালয়ের মালিক মনে করছেন। সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নিতি করেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার স্থানীয় এক শক্তির প্রভাবে তাকে থামিয়ে দিতেন। ইতিপূর্বে যে কোন অনিয়ম, দুর্নিতির অভিযোগ পেয়ে কর্তৃপক্ষের নীরবতা আমরা হতাশ ছিলাম। কিন্তু এখন স্থানীয় সাধারন মানুষ তান বিরুদ্ধে সোচ্চার।

কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস, এম রকিবুল আহসান বলেন, বেশ কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযুদ্ধা ও অভিবাবকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং তা কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তৃপ্তিরানী ভৌমিক বলেন,বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি চক্র এ ধরনের মিথ্যাচার করছে তার বিরুদ্ধে।

বার্তাবাজার/রাহা