কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের বারোমাইল থেকে মসলেমপুর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অসময়ের এই ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের গ্রামের কৃষি জমি। ইতিমধ্যে বহু জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

আতঙ্কে এখন নদী পাড়ের হাজারো মানুষ। প্রতি বছর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। এই ভাঙন দ্রুত রোধ করা না গেলে নতুন করে হুমকির মুখে পড়বে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা।

শনিবার (২৪ জুন) বিকেলে এরইমধ্যে নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন। দ্রুতই এ ভাঙ্গন রোধে অবিলম্বে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানিয়েছেন ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু।

তিনি আরও জানান,এখন যে ভাঙন দেখা দিয়েছে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের উদ্যোগ রয়েছে, দুই একদিনের মধ্যেই ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে।

পরিদর্শনে এসময় ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান মিঠু সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়
বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় নদীর গতিবিধি ও ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুতই এ ভাঙ্গন রোধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বার্তা বাজার/জে আই